রানিবাঁধের সভায় অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র
দেরি করে হলেও রানিবাঁধের সভায় পৌঁছে গেলেন অমিত শাহ। নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখলেন তিনি। তাঁর কণ্ঠে বারবার উঠে এল আদিবাসী উন্নয়নের কথা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সভা থেকে আদিবাসীদের উদ্দেশে ঠিক কী বার্তা দেন অমিত শাহ, সে দিকেই ছিল নজর। সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিত। বললেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে আদিবাসী উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা খরচ করবে। এখন, আদিবাসীদের সংশাপত্র নিতে ১০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। বিজেপি সরকার গড়লে আর সেটা হবে না। বাড়ি গিয়ে সংশাপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারে এলে ৪৯টি জঙ্গল উৎপাদিত দ্রব্য ন্যূনতম মূল্যে কিনবে বিজেপি সরকার। ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে। জঙ্গলমহলে ফোনের যোগাযোগ যাতে ভাল হয়, সেই ব্যবস্থা করবে সরকার।’’
তৃতীয় ও চতূর্থ দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর এই দিনই ছিল অমিতের প্রথম সভা। এর আগে খড়্গপুরে ছিল রোড শো। তারপর ঝাড়গ্রাম ও রানিবাঁধে সভা ছিল অমিতের। ঝাড়গ্রামের সভায় কপ্টার ত্রুটির জন্য ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। স্বাভাবিক কারণে এটিই কার্যত তালিকা ঘোষণা পরবর্তী সময়ে অমিতের প্রথম সভা। সোমবার ঝাড়গ্রামের সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন অমিত। তারপর হেলিকপ্টারে এসেছেন রানিবাঁধে। সেখানে ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহকে। নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘দিদি পায়ে চোট পেলেন, আপনার কষ্ট হল। কিন্তু যে বিজেপি কর্মীরা প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের কথা দিদি কি জানেন? তাঁদের মায়ের কষ্টের কথা দিদি জানেন? যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা কারওর দাদা, ভাই, ছেলে নন? মৃত্যুর সময় কষ্ট হয়নি দিদি? আদিবাসীদের আধিকার দিতেও কাটমানি চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বিজেপি কর্মীরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার, তাঁদের মায়েরা এ বার ভোটের বাক্সে জবাব দেবেন।’’
আদিবাসী উন্নয়নের বিজেপি-র পরিকল্পনা কী, বিস্তারে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘‘আদিবাসী এলাকার প্রতিটি তহশিলে মডেল স্কুল তৈরি করবে বিজেপি সরকার। ঝাড়গ্রামে তৈরি করা হবে বিরসা মুণ্ডার স্মরণে আদিবাসী সংগ্রহশালা। বিজেপি সরকার গড়লে, একটি কমিশন তৈরি করে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। ’’ পাশাপাশি জঙ্গলমহলের সামগ্রিক উন্নতিতে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাস্তা তৈরি থেকে শুরু করে আদিবাসী পড়ুয়াদের ভাতা দেওয়ার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ।