সুখেন্দু শেখর রায় ।
দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের ভোটে অশান্তি নিয়ে কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘণ্টা কয়েক পর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানালেন, ১০টি বুথ ছাড়া বাকি নন্দীগ্রামে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। এমনকি, পূর্ব মেদিনীপুরের বাকি কেন্দ্র এবং বাকি তিন জেলাতেও তৃণমূলের পক্ষেই অধিকাংশ ভোট পড়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি সুখেন্দুর।
নন্দীগ্রামে ভোট পরিচালনার জন্য তৃণমূল যে নেতাদের পাঠিয়েছিল, সুখেন্দু তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দীগ্রামে যখন প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে, তখনই সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দু। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে শুধুমাত্র ১০টি বুথেই অশান্তি হয়েছে। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করেছে। বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে। যদিও বৃহস্পতিবার বয়ালে একটি বুথে ২ ঘণ্টা আটকে ছিলেন বলে দাবি করেন মমতা। এমনকি, পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী কর্ডন করে তাঁকে বাইরে নিয়ে এলে তিনি বলেন, ‘‘এমন খারাপ ভোট আগে দেখিনি। নন্দীগ্রামে বিজেপি হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে আমিই জিতছি।’’
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা বলেন সুখেন্দুও। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, বিপুল সংখ্যক ভোট প়ড়েছে নন্দীগ্রামে। সেখানকার মানুষ তাঁদের আপনজন মমতা তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান বলেই বিপুল সংখ্যায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিয়েছেন।
বিজেপি-র তরফে নন্দীগ্রামে যে অশান্তির দাবি তৃণমূল করেছে, সে প্রসঙ্গে সুখেন্দু বলেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই বিজেপি এখন মনস্তাত্ত্বিক লড়াই করার চেষ্টা করে নানারকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে নন্দীগ্রামের ভোটাররা তাতে সা়ড়া দেয়নি। এ জন্য আমি নন্দীগ্রামের মানুষকে আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ তবে শুধু নন্দীগ্রাম নয় রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে বাকি ২৯টি কেন্দ্রেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে এবং মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই বেশি ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সুখেন্দু।