দিলীপ ঘোষের ভোটদান। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার প্রথম দফায় ভোট নয়াগ্রাম বিধানসভায়। ওই কেন্দ্রের কুলিয়ান গ্রামে বাড়ি দিলীপের। সেখানে সকালেই ভোট দেন তিনি।
রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের মোট ৩০টি আসনে। তার মধ্যেই রয়েছে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম কেন্দ্রটি। শনিবার ভোটদানের আগে পুজো দেন দিলীপ। তার পর পৌঁছন বুথে। ভোটের দিন ওই কেন্দ্রগুলির রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে দিলীপের দাবি, ‘‘এক মাত্র বিজেপি-ই আত্মবিশ্বাসী। জোটের কোনও খোঁজখবর নেই। আর দিদি এর আগে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৭টি জিতেছিলেন। কিন্তু দিদির আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে।’’ এর পর সংযোজন, ‘‘ওঁর দলের দর্মীরাও ময়দানে নেই। উনি উন্নয়নের কথা বলছেন না। ভাঙা পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন। এর অর্থ উনি ভয় পেয়েছেন। হেরে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, দলের সভাপতির বিরুদ্ধে, যাঁরা তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে উনি যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এটা ওঁর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। মমতাকে নিয়ে কোনও সমবেদনা নেই। কারণ উনিও কখনও সমবেদনা দেখাননি।’’
সংরক্ষিত কেন্দ্র নয়াগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী দুলাল মুর্মু। বিজেপি প্রার্থী বকুল মুর্মু এবং জোটের প্রার্থী হরিপদ সোরেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ধরলে ওই কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল।