মনোজ তিওয়ারি —ফাইল চিত্র
আমার নির্বাচনী যুদ্ধ চতুর্থ দফাতেই মিটে গিয়েছিল। তবে শিবপুর কেন্দ্রে আমার ভোট পর্ব তখনও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। দলের অন্য যোদ্ধাদের হয়ে প্রচার করতে শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাটে ছুটে গিয়েছিলাম। এই প্রবল গরমে ভোট যুদ্ধ লড়তে গিয়ে জ্বরের কবলেও পড়েছি। সেই জন্য ঘর থেকে বেরোতে পারিনি। তাই বলে আমার কাজ কিন্তু বন্ধ থাকেনি। আর এই কাজের জন্যই আমি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। নিজে জিতলাম। দল জিতল। দিদি জিতলেন। বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছি, আমরাই জিতে ফের সরকার গড়ব।
করোনা আবহেই শুরু হয়েছিল এ বারের বিধানসভা নির্বাচন। একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদে ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্বকে গ্যালারিতে ফেলে প্রচারের ডেসিবেল বেড়েই চলেছিল। এক শ্রেণীর দাবি, এর ফলেই নাকি কোভিড দ্বিতীয় দফায় আগমন ঘটিয়েছে। আমি অবশ্য করোনায় আক্রান্ত হইনি। তবে ভোজপুরী অভিনেতা তথা বিজেপি-র মনোজ তিওয়ারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমাকে শেষ পর্যন্ত টুইট করে সেই ভ্রান্তি মেটাতে হয়।
তবে আমার কেন্দ্রে বেড়ে চলেছে আক্রান্তদের সংখ্যা। নিজে জ্বরে কাবু থাকলেও দলের কর্মীদের কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে সব খবরাখবর নিয়েছি। আমার নির্দেশে এলাকায় মাস্ক বিতরণ ও স্যানিটাইজ করানোর কাজ হয়েছে। আক্রান্তদের যথা সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করা, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যাপারটাও তদারকি করেছি।
গত প্রায় দুই মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাঝের কয়েকটা দিন শুধু স্ত্রী সুস্মিতা, ছেলে জুভান ও পোষ্য ম্যাক্সের জন্য বরাদ্দ ছিল। রাজনীতির পিচে নামার সময় থেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে ২ মে এগিয়ে আসার সঙ্গে বেড়েছে চাপা উৎকণ্ঠাও। কারণ ফলাফল যে বাক্স বন্দী। তাই যে মানুষটা ঘরে থাকলে টেলিভিশনে সর্বক্ষণ কোনও না কোনও খেলা চলত, সেই আমিই খবরের চ্যানেলে চোখ রেখেছি। তবে মাথায় মমতাময়ী হাত থাকায় জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।