দীর্ঘ দিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার বিপরীতে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে রাজনীতির ময়দানে নবাগতা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
অভিজ্ঞতা না গ্ল্যামার, ভোটের ময়দানে কে কাকে টেক্কা দেবে তা তো বলবে সময়। আপাতত সম্পত্তির হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রাবন্তীর থেকে কত এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছেন পার্থ দেখে নেওয়া যাক।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন পার্থ সেই অনুযায়ী তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৬ টাকা।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন পার্থ সেই অনুযায়ী তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৬ টাকা।
স্থায়ী আমানত এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে দু’টি ব্যাঙ্কের ৪টি শাখায় তাঁর রয়েছে যথাক্রমে ২৪ লাখ ৮১ হাজার, ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৫ টাকা, ১৫ লাখ ১ হাজার ১৬১ টাকা এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯ টাকা।
তাঁর ২৫ লাখ টাকার একটি জীবনবিমা রয়েছে। জীবনবিমা, ব্যাঙ্কের আমানত মিলিয়ে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ৯০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৩ টাকা।
নিজের একটিও গাড়ি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে বা নিজস্ব উপার্জনে কোনও চাষের জমিও তাঁর নেই বলে হলফনামায় জানিয়েছেন পার্থ।
তবে পারিবারিক সূত্রে নাকতলায় একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। দেড় কাঠা জমির উপর ওই বাড়িটি বাবার থেকে পেয়েছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ৬ লাখ টাকা খরচ করে। এখন তাঁর মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
সোনা, রুপো, হিরে, প্ল্যাটিনাম- কোনও মূল্যবান গয়নাই নেই তাঁর। হলফনামার এই অংশটি ফাঁকাই রেখেছেন পার্থ।
কোনও ঋণও নেননি তিনি। এমনটাই উল্লেখ করছেন হলফনামায়। ২০১৯- ২০ অর্থবর্ষে তাঁর মোট উপার্জন ছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২০ টাকা।
হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য বলছে পার্থর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৩ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি বলতে শুধুই বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ২৫ লাখ টাকা।
তুলনায় পার্থর প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রাবন্তীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৯ টাকা। এবং স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।