বিক্রি হচ্ছে এমনই জামাকাপড়। দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।
‘খেলা হবে’। ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের আওয়ামি লিগের সাংসদ শামিম ওসমান এই স্লোগানটির প্রবক্তা। তার পরে, এ পারের ভোট-মরসুমেও তৃণমূল ও বিজেপি, উভয় দলের সৌজন্যেই ভিন্ন আঙ্গিকে হলেও এই স্লোগানটি কলরব তুলেছে। এমনকি, কান পাতলে এই স্লোগান শোনা যাচ্ছে পড়শি রাজ্য অসমেও। এই পরিস্থিতিতে এ বার এই স্লোগানে মেতেছে দুর্গাপুরের চৈত্র সেলের বাজারও!
বিষয়টি কী? খোলসা করেন শহরের বেনাচিতি বাজারের বিক্রেতারা। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বেশ কয়েকটি দোকানে ঝুলছে ‘খেলা হবে’ লেখা ছেলে-মেয়েদের টি-শার্ট। রয়েছে, ওই স্লোগান লেখা কুর্তি, চুড়িদারও।
এমনই এক দোকানের কর্মী সুদেব ঘোষ বলেন, ‘‘টেলিভিশনে দেখেছি, বহু জায়গায় খেলা হবে লেখা টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। হাওড়ায় জামাকাপড় কিনতে গিয়ে দেখি, চুড়িদারও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তা নিয়ে এলাম। ভাল চাহিদা রয়েছে। একশোটা এনেছিলাম। আর কয়েকটা মাত্র পড়ে আছে। জেলায় ভোট অনেক দেরি। আশা করি, আবার আনতে হবে।’’ অন্য একটি দোকানের মালিক মহম্মদ মৌসিন জানান, দিন কুড়ি আগে ৬০টি কুর্তি নিয়ে এসেছিলেন। পড়ে রয়েছে মোটে দু’টি। ফের এমন কুর্তি বাজার থেকে আনার কথা জানান দোকানের কর্মী রনক আলি।
বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাই এমন স্লোগান লেখা জামাকাপড়ের মূল ক্রেতা। সাধারণত, ১০০ টাকা করে টি-শার্ট, ১৫০ টাকায় কুর্তি ও ৩০০ টাকায় চুড়িদার বিক্রি হচ্ছে। তবে দামের রকম ফের আছে। তাঁদের কথায়, ‘‘চৈত্র সেলের বাজারে নতুন রং এনেছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি আমাদের সম্পর্ক নেই। আমরা ব্যবসায়ী মানুষ। তবে ‘খেলা হবে’ নতুন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন!’’
তবে বাজারে গুঞ্জন, এই ধরনের জামাকাপড়ের ক্রেতাদের বেশির ভাগই তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। তেমনই এক জন চন্দন রায় বলেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনে খেলা হবে! অনেকে বলছেন, আমাদের ‘ক্যাপ্টেন’-এর পা ভেঙেছে। আমরা তাঁদের বলছি, ভাঙা পায়েই খেলা হবে। আমরা নিজেরা ‘খেলা হবে’ পোশাক পরছি। অন্যদের উপহারও দিচ্ছি।’’