ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে নির্বাচনের দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে দিল বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ও গার্লস কলেজে সরকারি কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন বালুরঘাট ব্লক-সহ জেলার আটটি ব্লকের সরকারি দফতরের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে চলবে এই প্রশিক্ষণ।
কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই এ বার নির্বাচন হচ্ছে। কোভিড বিধি মেনে কী ভাবে ভোট পরিচালনা করতে হবে তা নিয়ে এই শিবিরগুলোতে যাবতীয় আয়োজন করছে জেলা নির্বাচনী দফতর। ভোটারদের দূরত্ববিধি মেনে লাইনে দাঁড়ানো, হাত স্যানিটাইজ করা, তাঁদের দস্তানা দেওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে দিকটা নজর রাখার কথাও ভোটকর্মীদের বলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচনী দফতরের এক আধিকারিক।
দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি মেদিনীপুরেও শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির। এ দিন সেখানে প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছে পুরুষ ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ। প্রিসাইডিং অফিসার, ফাস্ট পোলিং অফিসারদের ইংরাজি এবং বাংলাতে লেখা নির্বাচন সংক্রান্ত বই দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর সদর, ঘাটাল এবং খড়গপুর মহকুমায় মোট ৭ হাজার ৮৬০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলায় অতিরিক্ত বুথ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় বুথ বেড়ে হতে চলেছে ৫ হাজার ৩৯৮টি। জেলায় ২৭ হাজার ভোটকর্মীর প্রয়োজন। অন্য দিকে, মহিলা বুথের সংখ্যা বাড়ায় মহিলা ভোটকর্মীর প্রয়োজন ৫ হাজার ৩২১ জন। এবং পুরুষ ভোটকর্মী ২২ হাজার ৮৩৬ জন।