প্রতীকী ছবি।
একদিকে হারানো জমি ফিরে পেতে যুবদের উপর ভরসা। আর একদিকে জোটধর্ম মেনে সেই পুরনো নেতার উপর আস্থা রাখল সিপিএম। আরও একবার শিলিগুড়ির প্রার্থী হলেন অশোক ভট্টাচার্য। আর ‘নড়বড়ে সংগঠনের’ পাহাড়ে প্রার্থী এখনও ঘোষণাই করল না দল। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বিমান বসু দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। দেখা গিয়েছে, অশোকবাবু ছাড়া শিলিগুড়ির সমতলের দু’টি আসন ফাঁসিদেওয়া এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হয়েছে।
একমাস ধরে অশোকবাবু অবশ্য প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা করছেন। ৩৩টি ওযার্ডে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় দফতর খোলার কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তিনিই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। যেমন, মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে জেলা কংগ্রেস সভাপতি ফের প্রার্থী হতে চলেছেন। তবে কংগ্রেসের ভাগে থাকা ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে গত এক দশকের বিধায়ককে নিয়ে কিছু ক্ষোভ রয়েছে। পাহাড়ে গোর্খা লিগ, সিপিআরএমের মতো দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা সিপিএম করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি বলে সূত্রের খবর। কয়েকদিনের মধ্যে পাহাড়ের তালিকা ঘোষণা হবে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘সারা বছর শিলিগুডির মানুষের পাশে থাকি। দল দায়িত্ব দিয়েছে, লড়াই হবে। আমরাই জিতব।’’
পাশের শহরে আবার হারানো ভোট ফিরে পেতে জলপাইগুড়ির দু’টি আসনে যুবদের ওপরেই ভরসা রাখল বামেরা। জেলার সাতটির মধ্যে পাঁচটি বিধানসভা আসনে বামেদের প্রার্থী থাকবে। তার মধ্যে দু’টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি বলে এ দিন জানানো হয়েছে। তবে জলপাইগুড়ি জেলার বাকি তিনটি আসনে সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।
রাজগঞ্জে রতন রায়,মালবাজারে মনু ওঁরাও, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে দিলীপ সিংহ। তিনজনেই সিপিএমের প্রার্থী। ধূপগুড়ি আসনেও সিপিএমের প্রার্থী থাকবে তবে সেই প্রার্থীর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একই ভাবে ময়নাগুড়িতে আরএসপি প্রার্থীরও নাম এখনও স্থির হয়নি বলেই বামেদের তরফে জানানো হয়েছে।
মালবাজারে প্রার্থী করা হয়েছে কৃষক মুখকে। মনু ওঁরাও কৃষক নেতা হিসেবেই দলে পরিচিত পেয়েছে। নিজেও কৃষিকাজ করেন। এ দিন প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই মাথায় গামছা বেঁধে দলের পতাকা হাতে মিছিলে মনুর মুখ ‘ভাইরাল’ হয়েছে। রাজগঞ্জে রতন রায় সিপিএমের যুব সংগঠন থেকে সদ্য পার্টির এরিয়া সম্পাদক হন। যুব নেতা বলেই তিনি পরিচিত।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, “যুবক, কৃষকেরাই আমাদের মুখ। দু’জনেই রাজনীতিতে একেবারে সতেজ বলা যায়। মানুষের প্রথম পছন্দ এঁরাই হবেন বলে আশা রাখছি।”