মৃত ২ বিজেপি কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সভাস্থলেই কাছেই বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ নদিয়ার হুগোলবাড়িয়া এলাকায়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। হুগলির চাঁপদানিতে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ছিলেন বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্বজিতের উপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। তাঁকে হকি স্টিক দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। তার জেরে মারাত্মক ভাবে জখম হন বিশ্বজিৎ। আশপাশের বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিমন্তু বিশ্বজিৎকে বাঁচানো যায়নি। এ নিয়ে তৃণণূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
নদিয়ার তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস রায় অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিজেপি-র অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দলের কোনও কর্মী এর মধ্যে জড়িত নন।’’
মঙ্গলবার রাতে হুগলির চাঁপদানিতে গুলিবিদ্ধ হন প্রশান্ত রায় নামে এক বিজেপি কর্মী। তাঁর ডান হাতে গুলি লেগেছে। তিনি জখম অবস্থায় চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বাড়ি ফেরার সময় তাঁর বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কিছু দিন আগে চাঁপদানি পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা করেছিল প্রশান্ত। সে কারণেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ব্যক্তিগত আক্রোশে এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে রিষড়ায় যুবককে গুলি করে খুনের পর, চাঁপদানির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।