ফাইল চিত্র।
রাজ্যের অন্তত দু’জন মন্ত্রী এ বার সম্ভবত ভোটে লড়বেন না। এঁরা হলেন অমিত মিত্র এবং পূর্ণেন্দু বসু। কেন্দ্র বদলাতে পারে কয়েক জন মন্ত্রী এবং বিধায়কের।
আজ শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় সংস্কৃতি ও ক্রীড়াজগতের পরিচিত কয়েক জন থাকবেন বলে সূত্রের খবর। প্রাক্তন আমলা, পুলিশ ও প্রশাসনে অভিজ্ঞ কয়েক জনকেও মমতা ভোটে লড়ার জন্য বেছে নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যারাকপুরে প্রার্থী হতে পারেন সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত খবর, অমিতবাবুর কেন্দ্র খড়দহে পুরসভার চেয়ারম্যান কাজল সিংহকে প্রার্থী করা হতে পারে। পূর্ণেন্দুবাবুর রাজারহাট-গোপালপুরে প্রার্থী হতে পারেন এ দিনই তৃণমূলে যোগ দেওয়া সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী। অমিতবাবুর শরীর ভাল যাচ্ছে না। আর পূর্ণেন্দুবাবুকে মমতা তাঁর এ বারের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠাচ্ছেন। আইনি সমস্যার কারণে লালগড়ের ছত্রধর মাহাতো নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তাঁর জায়গায় স্ত্রী নিয়তিকে প্রার্থী করতে চেয়েও দলের সঙ্গে কথা বলেছেন ছত্রধর।
ডোমজুড় থেকে দু’বারই জিতে মন্ত্রী হওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিজেপিতে। তিনি ডোমজুড়ে দাঁড়াতে চেয়েছেন দলের কাছে। আর মমতা সেখানে প্রার্থী করতে চান কল্যাণ ঘোষকে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণবাবুকে হারিয়ে দেওয়ার পিছনে তৎকালীন মন্ত্রী রাজীবের ‘সক্রিয়’ ভূমিকা ছিল বলে জানতে পেরেছিল দল। ঘটনাচক্রে, কল্যাণ হয়তো সেই রাজীবের বিরুদ্ধে লড়বেন। বৈশালী ডালমিয়া বিজেপিতে যাওয়ায় বালিতে স্থানীয় এক চিকিৎসকের নাম ভেবেছেন মমতা। হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে ভাবা হয়েছে মনোজ তিওয়ারিকে।
তৃণমূলনেত্রীর পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুরের প্রার্থী কে, তা নিয়ে আগ্রহ যথেষ্ট। সেখানে এলাকার বাসিন্দা এক প্রবীণ মন্ত্রীকে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ দিন রাত পর্যন্ত রাজি হননি। বিকল্প হিসেবে এক মহিলা মন্ত্রীর কথাও ভাবা হচ্ছে।
বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না। বিজেপি শোভনকে তাঁর পুরনো ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করলে লড়াই আকর্ষণীয় হতে পারে। জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে প্রার্থী বদলে হিন্দিভাষী এক তৃণমূলনেতাকে দাঁড় করানোর কথা শোনা যাচ্ছে। প্রার্থী বদলের গুঞ্জন উত্তর কলকাতার কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রেও। এ দিন কলকাতার বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠকেও প্রার্থী বদলের ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, দল যাঁকে প্রার্থী করবে, তাঁর সমর্থনেই কাজ করতে হবে সকলকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের ১১টি আসনে বিদায়ী কাউন্সিলরদের সাংগঠনিক দায়িত্ব ব্যাখ্যা করেন।