মেচেদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেচেদায় জনসভা শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের তৃতীয় এবং শেষ জনসভা এটি। এর আগে এগরা এবং পটাশপুরে জনসভা করেছেন মমতা। দুই সভাতেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা। নিরপেক্ষ ভোট করতে পটাশপুরে জনগণকে ভোট বাক্স পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। ভোটকর্মীদের উদ্দেশ মমতার বার্তা, ‘‘ইভিএম মেশিন খারাপ হলে খবর নিন। বদলানো হল কি না দেখুন। কেন্দ্রীয় বাহিনীদের কথা শুনবেন না। ভোটবাক্স নিজেদরকেই পাহারা দিতে হবে।
একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মমতা। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তিনি বলেন, ‘‘ওরা গদ্দার ছিল গদ্দারি করেছে। তলে তলে যোগাযোগ রেখেছে বিজেপির সঙ্গে। বুঝতে পারিনি।’’ শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় তৃতীয় এবং শেষ জনসভা মমতার। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জেলা এই পূর্ব মেদিনীপুর। গত বছর লোকসভায় এই জেলার দু’টি কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে তখন শুভেন্দু এবং শিশির অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন। এবার সেই শুভেন্দুর সঙ্গেই মুখোমুখি যুদ্ধে নেমেছেন মমতা।
মেচেদার সভায় তিনি যা বললেন—
৩.০১: একমাস ভোট বাক্স পাহারা দিতে হবে।
২.৫৯ : এই তমলুককে আমি ভুলতে পারব না। নন্দীগ্রামের সময় এই তমলুক আমাকে আশ্রয় দিয়েছিল : মমতা
২.৫৭: তাজপুরে বন্দর হচ্ছে। এখানে ল্যান্ডিং সেন্টার হবে। প্রচুর কাজ পাবেন এলাকার মানুষ। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে: মমতা
২.৫৬: মেদিনীপুরের যে জায়গাগুলিতে বন্যা হত সেখানে আর বন্যা হওয়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছি কপালেশ্বরী প্রকল্পে: মমতা
২.৫৫: এখানকার মানুষ সমৃদ্ধ মানুষ। মাধ্যমিকের কৃতীদের মধ্যে অনেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের। তমলুকে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।
২.৫৪: দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্মার্টফোন আর ১০ হাজার টাকার ক্রেডিট কার্ডের কথা আবারও বললেন মমতা।
২.৫৪: গ্রামের ছেলেরা যেমন কবাডি খেলে, সেরকমই কবাডির প্যাঁচে কাত করে দিন বিজেপি-কে।
২.৫৩: কফি হাউসে ওরা গুণ্ডামি করেছে। বাংলার ঐতিহ্য কফি হাউস। সেখানে গিয়ে সেখানকার ঐতিহ্য নষ্ট করেছে। বিজেপি এরকমই : মমতা
২.৫২ : অন্যসময় দেখা যায় না। ভোটের সময় এসে বলে ৫০০ টাকা নাও ভোটটা দাও। টাকার বদলে ভোট দেবেন না : মমতা
২.৫০: এই ভোটটা নিছক ভোট নয়। এই বিজেপি শুধু বিজেপি নয়। এরা রাবণের দল, মেয়েদের উপর অত্যাচারকারী দল, দাঙ্গাবাজ দল : মমতা
২.৪৫ : বিজেপি লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে। আমি এনপিআর করতে দিইনি। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।