মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জ্ঞানবন্ত সিংহ। ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের জেরে রবিবারই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার সেই দায়িত্ব দেওয়া হল জ্ঞানবন্ত সিংহকে। তিনি রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এডিজি ছিলেন। বিবেকের বিরুদ্ধে কর্তব্য পালনেরে ব্যর্থতায় চার্জ গঠন করা হয়েছে।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হন। তাঁর পায়ে চোট লাগে। সেই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার ঠিক আগের দিন রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে বীরেন্দ্রকে সরিয়ে নীরজনয়ন পাণ্ডেকে নিয়ে আসা হয়। ডিজি বদলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। একইসঙ্গে তারা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে। গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি নিয়ে পাল্টা কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি-ও।
এর পরই নির্বাচন কমিশন গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে। সেই রিপোর্ট কমিশনের কাছে পৌঁছনোর পর কড়া পদক্ষেপ করা হয়। রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বা ডিরেক্টর-সিকিয়োরিটি পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিবেককে। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গয়ালকে সরিয়ে আনা হয় স্মিতা পাণ্ডেকে। পুলিশ সুপার পদ থেকে প্রবীণ প্রকাশকেও সরিয়ে দেয় কমিশন। আনা হয় সুনীলকুমার যাদবকে।