আগামী ২৪ মার্চ কাঁথিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ২১ মার্চ এগরায় জনসভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। দুই সভাতেই উপস্থিত থাকতে পারেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। বুধবার চণ্ডীপুরে বিজেপি-র সমাবেশ থেকেই এমন ঘোষণা করে দিলেন তাঁর পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। জানালেন, মোদীর সভায় শিশির তো থাকবেনই। তার আগেই এগরায় অমিতের সভাতেই বাবাকে যেতে বলবেন তিনি।
শিশির আগেই জানিয়েছিলেন মেজছেলের (শুভেন্দুর) নির্দেশে পেলেই তিনি মোদীর সভায় যাবেন। এমনও বলেছিলেন যে, তিনি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর গৃহকর্তা হলেও এখন সব সিদ্ধান্ত নেন তাঁর মেজপুত্রই। সেই মেজপুত্রই বুধবার জানিয়ে দিলেন বাবার পরবর্তী পদক্ষেপের কথা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে বিজেপি-র জনসভায় তৃণমূলের নিন্দা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাবার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছিল বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাঁথিতে তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আরে! তোর বাপকে গিয়ে বল! তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি! যা করার কর! আয়! হিম্মত আছে?’’
বুধবার সেই বক্তব্যের উল্লেখ করতে করতেই শুভেন্দু জমায়েতের উদ্দেশে বলেন, ‘‘শিশির অধিকারীকে আপনারা চেনেন। শিশিরবাবু থাকবেন মোদী’জির সভায়। অপেক্ষা করুন। আমি তো বলব, আরও আগে অমিত’জির সভায় চলে যেতে। ২১ তারিখ এগরায় ওই সভা আছে।’’
বুধবার শুভেন্দুর এই মন্তব্যের আগে আগেই শিশিরও মুখ খোলেন। সকালে কোভিড টিকা নিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর কর্তা। তখনই সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করে, তিনি কি এখনও তৃণমূলে আছেন? জবাবে শিশির বলেন, “কে বলল আমি তৃণমূলে আছি? লোকে তাই বলে নাকি?” সুযোগ দিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সভায় যেতে পারেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি। শিশিরের কথায়, “যে দিন শুভেন্দু (বিজেপি-তে) চলে গিয়েছে, সেই ডিসেম্বর থেকে আমার বাপ-ঠাকুরদা-চৌদ্দ পুরুষ তুলে গালাগালি করা হয়েছে। মিরজাফর, বেইমান বলা হচ্ছে! কার খেয়েছি, কার ভোগ করেছি আমরা জানি না। মেদিনীপুরের লোক জানে আমরা ভোগী না ত্যাগী।”
এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর মেজছেলের ঘোষণা নিশ্চিত করে দিল— মার্চেই পদ্মপত্রে দেখা যাবে শিশিরবিন্দু। তখন তৃণমূল শিশিরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না, এখন দেখার সেটাই।