প্রতীকী চিত্র।
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট ও বিজেপি এখনও অনেক আসনে প্রার্থী ঠিক করে উঠতে পারেনি। কিন্তু তার বহু আগেই তৃণমূল উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন ছেড়ে রেখে বাকি ২৯১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে।
প্রার্থী ঘোষণার পরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অসন্তোষ দেখা দিলেও কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলাতে এখনও পর্যন্ত কোথাও তেমন ভাবে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের খবর আসেনি। অন্য দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার ২২টি আসনে তৃণমূল চেষ্টা করছে বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করার আগে যতটা সম্ভব প্রচার এবং সংগঠন মজবুত করে নিতে। তাই প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর তৃণমূল প্রার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারের কাজে।
মুর্শিদাবাদ জেলাতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৪টি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও পরে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলবদল করেন একাধিক বাম এবং কংগ্রেস বিধায়ক। কংগ্রেসের মাটিতে ঘাসফুল ফোটানোর জন্য এখন থেকেই দিনরাত এক করে মাটি কামড়ে থেকে লড়াই করছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের দিন ঘোষণার এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা না হওয়া শাপে বর হয়েছে এই জেলার তৃণমূল নেতাদের কাছে। এর ফলে তৃণমূল প্রার্থীরা একদিকে যেমন বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের একত্রিত করে তাদের ক্ষোভের কথা জেনে নিচ্ছেন এবং সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে দেওয়াল দখল করে প্রার্থীর নাম লেখার ক্ষেত্রেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।
সূত্রের খবর, কেবলমাত্র জঙ্গিপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী এখনও তাঁর প্রচার সে ভাবে শুরু করতে পারেননি। কারণ সেখানকার প্রার্থী জাকির হোসেন নিমতিতা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু বাকিরা পুরোদমে প্রচার শুরু করেছেন।