বেশ কিছু দিন ধরেই বিতর্ক তাঁর পিছু নিয়েছে। তার মাঝেই রাজনীতির ময়দানে। তৃণমূলে যোগ দিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার টিকিট। টালিগঞ্জের পরিচিত মুখ সায়নী ঘোষ এ বার আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ছিল ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে আছে ৩২ হাজার ৭৭৫ টাকা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে গচ্ছিত আছে ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮২৫ টাকা ৮ পয়সা।
শেয়ারবাজারে কিছু বিনিয়োগ করেননি বলে জানিয়েছেন সায়নী।
জীবনবিমার ক্ষেত্রে সায়নী বিনিয়োগ করেছেন মোট ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৬ টাকা।
২০১৭ সালে একটি হন্ডা জ্যাজ কিনেছিলেন সায়নী। দাম পড়েছিল ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৬৯ টাকা।
সায়নীর কাছে থাকা ৪ গ্রাম সোনার মূল্য ২৩ হাজার ১১২ টাকা।
কোনও কৃষিজমি বা দোকানঘর সায়নীর নামে নথিবদ্ধ নেই।
যাদবপুরে এক বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে সায়নী থাকেন।
২০১৫ সালে ৬৭০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাট সায়নী কিনেছিলেন ২৪ লক্ষ ১ হাজার টাকায়।
ফ্ল্যাটটির বর্তমান বাজারদর প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা।
গাড়ি এবং বাড়ি মিলিয়ে চার ক্ষেত্রে মোট ৬৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৫৬ টাকা ৫২ পয়সার ঋণ চলছে সায়নীর। ব্যাঙ্কের বাইরেও সায়নীর ঋণ রয়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে মোট ৮৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ টাকা ৫২ পয়সার ঋণ আছে এই তারকার।
হলফনামায় নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন সায়নী। উপার্জনের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন অভিনয়ের পারিশ্রমিক এবং বিজ্ঞাপনবাবদ উপার্জনকে।
২০১১ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সায়নী। এ বারের নির্বাচনে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পাল এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী সিপিএম-এর প্রশান্ত ঘোষ।