সিউড়িতে বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে স্মৃতি। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের মধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে চিঠি লিখে বিজেপি-কে ঠেকাতে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দাবি, ওই চিঠিই প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা হারাতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপি-র প্রচারে স্মৃতি বলেন, ‘‘তৃণমূল যাচ্ছে, বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।’’
বীরভূমের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র— সিউড়ি, দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর এবং সাঁইথিয়ার বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন মঙ্গলবার। সেই উপলক্ষে জেলা সদরে এসেছিলেন স্মৃতি। তিনি প্রথমে কপ্টারে সিউড়ি বেণীমাধব স্কুল ময়দানে পৌঁছন। তারপর রোড শো শরু হয়। প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন স্মৃতি। রওনা হওয়ার আগে বেণীমাধব মোড়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ছোট বক্তৃতা করেন তিনি। সেখানেই তিনি মমতার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘বাংলা থেকে তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ কেন্দ্রের বিরোধী নেতাদের চিঠি দিয়ে বিজেপি-বিরোধী ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, আম আদমি পার্টি (আপ)-র অরবিন্দ কেজরীবাল, বিজেডি-র নবীন পট্টনায়ক, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি সেই তালিকায় ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও।
মঙ্গলবার স্মৃতির বক্তৃতায় উঠে আসে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। তিনি বলেন, ‘‘বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের তৃণমূল গুন্ডারা যে ভাবে সাধারণ মানুষকে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগে বাধা দিয়েছে, তা আর এ বার হবে না। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।’’
পাশাপাশি, মঙ্গলবার দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরবেড়া গ্রামের এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর প্রসঙ্গও উঠে আসে স্মৃতির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘‘যারা আমাদের কর্মীদের রক্ত নিয়ে খেলা করছে, বিজেপি সরকারে আসার পর তাদের সকলের জেলে ঠাঁই হবে।’’