ছবি: সংগৃহীত।
সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে রাজ্যে ভোটপ্রচারে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর এসেছেন তিনি। গোয়ালপোখরের পর মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনেও জনসভা করার কথা রাহুলের।
প্রসঙ্গত, নীলবাড়ির লড়াইয়ের নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথের মতো গেরুয়া শিবিরের রথী-মহারথীদের প্রচারে দেখা গেলেও কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা পা রাখেননি। এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে ১৭ এপ্রিল, পঞ্চম দফার আগে জোড়া সভা করছেন রাহুল।
এক নজরে রাহুলের বক্তব্য:
• এটা রাজনৈতিক লড়াই। মতাদর্শের লড়াই।
• কংগ্রেসের লড়াই ভাবাদর্শের লড়াই। নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের কথা বলেছেন। তৃণমূল-মুক্ত ভারতের কথা বলেননি। মোদী জানেন, রাহুল গাঁধী তাঁকে ভয় পান না। উল্টে রাহুল গাঁধীকে ভয় পান মোদী।
• বাংলার জন্য কী করেছেন মোদী? কী করেছে মমতার সরকার?
• নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য একটাই। নিজেদের মধ্যে সকলকে লড়াই করিয়ে দেওয়া। যাতে তাঁরা প্রশ্ন করতে না পারেন।
• কত লোককে চাকরি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী? ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছেন।
• এমন আইন তৈরি করেছেন, প্রথমে ছোট দোকারদারদের মেরেছেন, এখন কৃষকদের মারছেন।
• শ্রমিকেরা হাতজোড় করে বলেন, আমরা ঘরে যেতে চাই। তবে সোনার বাংলাওয়ালার বলেন, তোমারা না খেয়ে পেয়ে মরে যাও। সে সময়ই নরেন্দ্র মোদী নিজের ৫-১০ বন্ধুর কর মাফ করেন।
• মোদী’জি কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই লকডাউন করেন।
• করোনা এলে মোদী বলেন, হাততালি দাও। দীপ জ্বালাও। করোনা চলে গিয়েছে?
• মমতা’জি বলেন, ভোটের সময় খেলা হবে। খেলা খেলতে গেলে তো রাস্তায় হবে। এখানে কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়দানে খেলা হবে। সেটা তো আপনি দেবেন না।
• করোনা নিয়ে চিন্তিত নয় কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার।
• এখনও পর্যন্ত ছোট দোকানদারেরা জিএসটি বুঝতে পারেননি। নোটবন্দির ফলে কারও ফায়দা হয়নি। কর কোথায় যায়? নরেন্দ্র মোদীর ৫-১০ বন্ধুর কাছে যায়।
• বিজেপি বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। বাংলাকে বাঁচাতেই এসেছি।
• যে ভাবনা বিজেপি বাংলায় ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা-ই অসম, তামিলনাড়ুতে করছে বিজেপি।