গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গলায় কালো স্কার্ফ, মুখে কালো মাস্ক। গাঁধী মূর্তির নীচে হুইলচেয়ারে বসেই হাতে তুলে নিলেন রং, তুলি। দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ গাঁধী মূর্তির নীচে এসে পৌঁছেছেন মমতা। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্নাস্থলে পৌঁছলেও, মেলেনি সেনার অনুমতি। সেনা মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে একটা জটিলতা। শোনা যাচ্ছে, মমতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করতে পারে সেনা। সোমবার তৃণমূলনেত্রীর প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্ররোচনামূলক’ বক্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে নোটিস দিয়ে জবাব চেয়ে পাঠায় কমিশন। তার জবাবও দেওয়া হয় কমিশনকে। কিন্তু কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, মমতাকে পাঠানো নোটিসের জবাবে তারা ‘সন্তুষ্ট’ নয়। এর পরই সোমবার তৃণমূলনেত্রীর প্রচারে কমিশনের খাঁড়া নেমে আসে।
কমিশন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রচার কর্মসূচি চালাতে পারবেন না। এর পরই সোমবার রাতেই টুইট করে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগতান্ত্রিক’, ‘অসাংবিধানিক’ বলে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, এর প্রতিবাদে দুপুর ১২টা নাগাদ গাঁধী মূর্তির নীচে ধর্নায় বসবেন।