পিপিই কিট পরে ভোটাধিকার প্রয়োগ। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাই বলে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা পড়বে কেন! ভোট দিতে তাই পিপিই কিট পরেই বুথে হাজির হলেন ৩ করোনা রোগী।
শনিবার রাজ্যে যখন পঞ্চম দফার নির্বাচন পর্ব মিটবে মিটবে করছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক করোনা সংক্রমণ প্রায় আট হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন প্রার্থী। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে দুই প্রার্থীর। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই কমিশনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জলপাইগুড়ি বিধানসভা এলাকার তিন করোনা আক্রান্ত রোগী বুথে এসে ভোট দিলেন পিপিই কিট পরে।
৬ দিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার পুর প্রশাসক সন্দীপ মাহাতো। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর পিপিই কিট পরে নিজেই স্কুটি চালিয়ে তিনি আসেন জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা ক্ষেত্রের ১৭/৯৮ বুথে। ভোট দিয়ে যান।
মোহিতনগর স্কুলে ১৭/২৭ বুথে এসে একই ভাবে পিপিই কিট পরে ভোট দেন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী এবং তার স্ত্রী। দু’জনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। আপাতত দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসেনি এখনও।
শনিবার ফাঁকা বুথে সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই এই তিন জন ভোট দেন। সন্দীপ নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন করোনা রোগীদের এভাবে ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করার জন্য।
বাপি বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে পিপিই কিট পরে ভোট দেওয়া সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।’’ তবে করোনা আক্রান্ত হলেও শনিবার রাস্তায় বেরিয়েছিলেন বাপি। বলেন, ‘‘সকাল থেকে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে গেলেও গাড়ির মধ্যেই ছিলাম। দেখলাম কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে। মোটের উপরে জলপাইগুড়িতে ৭ টি আসনের মধ্যে আমরা সব ক’টিতে জয়ী হচ্ছি।’’