অভিনয় থেকে রাজনীতি। রাজনীতিতে হাতেখড়ি তৃণমূল শিবিরে। মতান্তরের জেরে দলবদল ৭ বছর আগে। বিজেপি-তে এসে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর নামের সঙ্গে এখন জড়িয়ে গিয়েছে প্রতিবাদী পরিচয়। হুগলির সাংসদ হয়েছিলেন আগেই। এ বার তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চুঁচুড়া থেকে।
২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে লকেটের উপার্জন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৫৪ টাকা। ওই একই বছর তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যের উপার্জন ছিল ১৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩১ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়ে লকেট তাঁর বিষয় আশয়ের বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর হাতে আছে নগদ ৩৩ হাজার ৪৫২ টাকা। তাঁর স্বামীর কাছে আছে ২৭ হাজার টাকা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে লকেটের নামে গচ্ছিত আছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। একটি ব্যাঙ্কে তাঁর স্বামীর নামে আছে ৫৮ হাজার ৮৩৬ টাকা।
শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং পিপিএফ মিলিয়ে লকেটের বিনিয়োগ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্বামীর বিনিয়োগ ৭৩ লক্ষ টাকা।
লকেটের দু’টি গাড়ি। একটি, ১৫ লক্ষ টাকার টয়োটা ফরচুনার। অন্যটি হুন্ডাই ইয়ন। তাঁর স্বামীর একটি মারুতি সুজুকি সুইফ্ট আছে। দাম ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
বিজেপি নেত্রীর ৫০০ গ্রাম সোনার গয়নার বাজারদর প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। কলকাতার সোনারপুরে দু’টি এবং ইএম বাইপাসে অভিদীপ্তা আবাসনে একটি, মোট তিনটি ফ্ল্যাট আছে লকেটের। তাঁর স্বামীর নামেও একটি ফ্ল্যাট আছে ইএম বাইপাসে।
লকেটের নামে এই মুহূর্তে কোনও ব্যাঙ্কঋণ নেই। হলফনামায় নিজেকে অভিনেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন নেত্রী। পেশা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন অভিনয়ের কথা। তাঁর স্বামী চাকরি করেন।
১৯৯৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যোগমায়াদেবী কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন লকেট। ছাত্রীজীবনে লকেট নিজেও জানতেন না একদিন নিজেকে দেখতে পাবেন রাজনীতির ময়দানে। বরং, সে সময় আগ্রহী ছিলেন অভিনয় এবং নাচ নিয়ে। মেয়ের আগ্রহ দেখে মা ভর্তি করে দিয়েছিলেন নাচের স্কুলে।
নাচ থেকে অভিনয়ে। প্রথম সুযোগ ছোট পর্দায়। এরপর সুযোগ বড় পর্দায়। ‘মায়ের আঁচল’, ‘পরিবার’, ‘অগ্নি’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির অভিনেত্রী লকেট জানতেন না এর পরের অধ্যায় রাজনীতির।
প্রতিবাদী সত্তা থেকেই জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে। কয়েক বছর পর সেই সম্পর্ক নিজেই ভাঙেন।