মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দু’জনের বিরুদ্ধেই উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। সেই নোটিস নিয়ে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু কোনও মন্তব্য না করলেও মমতা বলেছেন, ‘‘একটা কেন ১০টা নোটিস ধরালেও আমার কিছু এসে যায় না।’’ শনিবার সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, ‘‘দু’জনেরই উচিত নোটিসের জবাব দেওয়া।’’
নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মমতাকে ‘বেগম’ বলেছিলেন শুভেন্দু। তারপরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর অবমাননা করে শুভেন্দু নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ ছিল তৃণমূলের। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শুভেন্দুকে নোটিস পাঠায় কমিশন। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল শুভেন্দুকে। সেই চিঠি জমা পড়েছে কি না, তা কমিশন সূত্রে জানা যায়নি।
তবে তারও আগে বুধবারই মমতাকে নোটিস দেয় কমিশন। ভোটের প্রচারে হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ তৈরির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই মমতা এ নিয়ে জনসভা থেকেই জানিয়েছেন, কমিশনের নোটিসে তাঁর কিছু এসে যায় না। এর পরে শুক্রবারও কমিশন একটি নোটিস পাঠিয়েছে মমতাকে। গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল প্রচার সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরেই এই নোটিস বলে কমিশন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার নোটিস ধরানো হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ (সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া), ১৮৯ সরকারি কর্মীকে হুমকি এবং ৫০৫ (সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টিতে ইন্ধন জোগানো) ধারায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে, মেয়েদের একটা দল মিলে ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একটা দল ভোট দিতে যাবেন। শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভোট দেওয়া হবে না। তাই ভোট নষ্ট করবেন না। ৫ জন ঘেরাও করবেন। ৫ জন ভোট দেবেন।’’ এর প্রেক্ষিতে কমিশনের নোটিসের জবাব তিনি দেবেন কি না, তা এখনও জানাননি মমতা। তবে তার আগেই বার্তা দিলেন অমিত। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে তাঁর মত জানতে চাওয়া হলে অমিত শুধু এটুকুই বলেন যে, ‘‘দু’জনেরই কমিশনের নোটিসের জবাব দেওয়া উচিত।’’