BJP

Bengal Polls: এ বার ‘চলো নিজ নিকেতনে’, অবশেষে তারকা প্রচারকদের ঘরে ফেরার দিন এল

বিজেপি-তে তারকা প্রচারকের সংখ্যা বেশি। দফায় দফায় এসেছেন, গিয়েছেন অনেকে। আবার বেশ কয়েক জন বাংলাতে অস্থায়ী ঘরও বানিয়ে ফেলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১৭
Share:

প্রচার শেষ। এ বার ঘরে ফেরার পালা। ফাইল চিত্র।

সব পাখি ঘরে আসে...। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় পাখিদের কথা তো প্রতীকী। আসলে দিনের শেষে, কাজের শেষে ঘরে ফেরাই তো রুটিন। সেই মতোই এ বার নিজ নিজ ঘরে যাওয়ার পালা ভিন্‌ রাজ্য থেকে বাংলায় আসা রাজনৈতিক নেতাদের। আরও স্পষ্ট করে বললে, বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী-সান্ত্রীদের।

Advertisement

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ‘ভিআইপি ক্যাম্পেনার’ মানে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে জোড়াফুলের হয়ে সমাজবাদী সাংসদ জয়া বচ্চন বাংলায় প্রচারে এলেও ফিরে গিয়েছেন আগেই। তবে তৃণমূলের প্রধান মুখ হিসেবে মমতা ঘর ছেড়ে দিনের পর দিন প্রচারে চষেছেন রাজ্যের এ মাথা থেকে ও মাথা। সোমবার প্রচার পর্ব শেষ। এ বার বৃহস্পতিবারের অষ্টম দফা আর তার পরে ২ মে গণনার অপেক্ষায় থাকাটা মূলত কলকাতায় ঘরে বসেই। মমতা সোমবারই ফিরেছেন কালীঘাটে। প্রচারের ‘লেনদেন’ ফুরানোর পর এ বার হয়তো ‘মুখোমুখি বসিবার’ সুযোগ মিলবে।

বিজেপি-র ক্ষেত্রে তারকা প্রচারকের সংখ্যা অনেক বেশি। দফায় দফায় এসেছেন, গিয়েছেন অনেকে। আবার বেশ কয়েক জন বাংলার হোটেলকেই যেন ঘর বানিয়ে ফেলেছিলেন গত কয়েকটা মাস। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই ৯ ডিসেম্বর শুরু করেছিলেন বাংলা সফর। শেষ হচ্ছে ২৬ এপ্রিল। সোমবারও খানতিনেক ভার্চুয়াল সভা ও সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক। তার পর নিউটাউনের হোটেল থেকে চেক-আউট। না, আপাতত আর আসার দরকার নেই। অন্তত ভোটের প্রচারে তো নয়ই।

Advertisement

অমিত শাহ অবশ্য হোটেলের ঘর ক’দিন আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। কলকাতা সংলগ্ন হোটেলকেই তো শাহী-সংসার বানিয়ে দিয়েছিল নীলবাড়ির লড়াই। তাঁর সফর শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথরা রাত কাটাননি বাংলায়। মূলত আসা-যাওয়ার স্রোতেই ভেসে থেকেছেন গোটা প্রচার পর্ব। বরং যোগী-রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বাংলাকে দীর্ঘ সময় ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন। একই কথা বলা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, অভিনেতা সাংসদ মনোজ তিওয়ারিদের ক্ষেত্রে। বার বার এলেও খুবই কম থেকেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বিজেপি-র অভিনেতা-নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও লম্বা প্রচার পর্ব সামলেছেন। শেষ দিন সোমবারও ৩ সভা। এ বার হয়তো ফিরে যাবেন উটি কিংবা মুম্বইয়ের নিজ নিকেতনে।

এঁরা তো হলেন প্রচারে অংশ নেওয়া খ্যাতনামীরা। এর বাইরেও বিজেপি-র সাংগঠনিক কাজ দেখতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ যেমন এসেছেন গেছেন তেমনই বিধানসভা স্তরে বিস্তারক হিসেবে থেকে কাজ করতেও অনেকে রাজ্যে এসেছেন। অনেকে আবার রাজ্যের মধ্যেই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গিয়েছেন। অন্য রাজ্য থেকে ডজনখানেক বড় পদে থাকা নেতা বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় এসেছেন। এ বার তাঁরা সবাই ঘরে ফিরছেন। অনেকে ফিরেও গিয়েছেন। বাংলা চষে বেড়ানো রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘ভোটের ক্যারাভান’ও এ বার হয়তো ফিরে যাবে উত্তরপ্রদেশের ঠিকানায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement