ধনেখালির সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি ভাড়া করা ক্যাসেট আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিডি। শনিবার বিকেলে হুগলির ধনেখালিতে নির্বাচনী সভায় এ ভাবেই পদ্ম-শিবিরকে বিঁধলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব বিশ্বাস করি, যোগী আদিত্যনাথের হিন্দুত্বে বিশ্বাস করি না।’’ পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন-খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি।
ধনেখালি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক অসীমা পাত্রের সমর্থনে সোমসপুরের মাঠে বেলা ১টায় সভা শুরু হলেও অভিষেক পৌঁছন পৌনে ২টো নাগাদ। রাজ্য সরকারের এক গুচ্ছ প্রকল্পের সুফল তুলে ধরেন জনসভা থেকে। অন্যদিকে, বিজেপি-র বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করে দেখান।’’ এর পরেই অডিয়ো-ডিভিডি তুলনা টেনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি-কে শুধু শুনতে পাবেন। মমতাকে শুনতেও পাবেন, দেখতেও পাবেন।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সভাতেও বিজেপি এবং তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রসঙ্গ টেনে অডিয়ো-ডিভিডি-র তুলনা টেনেছিলেন অভিষেক।
অভিষেক শনিবার বাংলার ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘এই মাটি দিল্লির নেতাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। এই মাটি বহিরাগত দের জন্য নয়। আগামী দিনে উন্নয়ন বনাম অনাচারের লড়াই হবে।’’ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘১৫ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি চাকরি প্রধানমন্ত্রী দেননি। নোটবন্দি করেছেন, কিন্তু কালো টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। আর এখন জুমলাবাজ নেতারা ভোট ভিক্ষা করে সোনার বাংলা গড়তে চাইছে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশকে আগে সোনার করে দেখাক, তারপর সোনার বাংলা গড়বে। সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু প্রতিশ্রুতি মেনে কৃষকদের জমি ফেরৎ দিয়েছেন।’’
অভিষেকের দাবি, বিজেপি বলে তারা বড় দল আর তৃণমূল হচ্ছে কৃষকের দল, খেটে খাওয়া মানুষের দল। তৃণমূল যা কাজ করেছে, তার রিপোর্ট কার্ড দিয়েছে। বিজেপি দেয়নি। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘যে কোনও জায়গায় আলোচনা সভায় বসে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে লড়াই করব আমি। ১০ গোল দিতে না পারলে, রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দেব।’’