ভোটের প্রচারে বারাসতে চিরঞ্জিৎ। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের প্রচারে নেমেই বারাসত বিধানসভা তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী হাতিয়ার করলেন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনাকে। মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত এবং তাঁর উপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সরব হন তিনি। তৃণমূলের অভিনেতা-প্রার্থীর দাবি, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বীরুলিয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন মমতা।
চিরঞ্জিৎ বৃহস্পতিবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন এত জায়গায় প্রচার করেছেন, কোথাও কিছু হয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রী যখন ষড়যন্ত্রর কথা বলছেন, তখন তা অহেতুক হতে পারে না । বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী মনে করেন, কোথাও একটা ‘পরিকল্পনা’ আছে। কারণ, ভোট ঘোষণার পরে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নন্দীগ্রামের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলেও জানান চিরঞ্জিৎ।
মিঠুনের দলবদল নিয়ে চিরঞ্জিতের ব্যাখ্যা, ‘‘বাধ্যতার জালে মিঠুন আটকেছেন। না হলে এ ভাবে তিনি দল তিনি বদলাতেন না ।’’ তবে মিঠুন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন বলেও মনে করেন না চিরঞ্জিত। বারাসাত বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি এখনও । কিন্তু বৃহস্পতিবার চিরঞ্জৎ জানিয়েছেন, তাঁর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম । দাবি করেন, সনাতন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে দাঁড়াচ্ছেন ।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর পুরসভায় বসে সাংবাদিক বৈঠক করে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন চিরঞ্জিৎ। গত ৬ মার্চের ওই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধীরা। এর পর কমিশনের তরফে বারাসতের পুর প্রশাসককে কারণ-দর্শাও নোটিস জারি করা হয়েছিল।