ফাইল চিত্র।
জোট হয়েছে তাতে কী, জেলা নেতৃত্বকে প্রাধান্য না দেওয়ায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) মালদহের তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে। আইএসএফ সূত্রে আরও খবর, সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম শরিক এই দল মঙ্গলবার জেলার সুজাপুর, মোথাবাড়ি ও মালতীপুর আসনে প্রার্থী দিতে পারে।
মালদহের ১২টি আসনেই সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যে মোর্চার শরিক দুই দল, কংগ্রেস ও সিপিএম ১২টি আসনের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারও শুরু করেছেন। মঙ্গলবার তাঁরা মনোনয়ন দাখিল করবে। আইএসএফ নেতৃত্বের অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি, বামেদের সঙ্গেই তাঁদের মূলত জোট হয়েছে। যে সব জেলায় আইএসএফকে জায়গা দেয়নি কংগ্রেস, সে সব জায়গায় দু’একটি আসনে তাঁরা পৃথক ভাবে প্রার্থী দিতে পারেন বলে প্রথম থেকেই জানাচ্ছিলেন তাঁরা। এতেই মালদহের তিনটি আসনে আইএসএফের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জল্পনা জোরালো হয়।
এ বারের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস, সিপিএম এবং আইএসএফ একসঙ্গে লড়ছে। সেই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। মোর্চার শরিক হলেও মালদহ জেলার ১২টি আসনের মধ্যে একটি আসনও ছাড়া হয়নি আইএসএফকে। ৯টি আসন কংগ্রেস এবং ৩টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি আসনেই প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম ইতিমধ্যে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। জোটের বাকি ১১ জন প্রার্থী মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা করবেন বলে খবর।
এরই মাঝে এই মোর্চার শরিক আইএসএফ জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজাপুর আসনে নুর ইসলাম শেখ, মোথাবাড়ি আসনে নুর হক ও মালতীপুর আসনে এনামুল হক প্রার্থী হচ্ছেন। সুজাপুর আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তথা আইএসএফের জেলা নেতা নুর ইসলাম শেখ বলেন, ‘‘রবিবার ফুরফুরা শরিফে দলীয় বৈঠকে মালদহ জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে আমাদের জোট হলেও উত্তরবঙ্গ তথা মালদহে হয়নি। আমরা মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেব।’’ এ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র মন্তব্য করতে চাননি। কংগ্রেসের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক মইনুল হক বলেন, ‘‘এমন কথা জানা নেই। আইএসএফের সঙ্গে কথা বলব।’’