চোপড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দোকান। নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরর্বতী হিংসায় উতপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। ভোট গণনা শেষ হতেই চোপড়ার বিভিন্ন জায়গায় মারপিট এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে আতঙ্কিত হয়েছেন চোপড়াবাসী।
চোপড়া বিধানসভায় ৬৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান। সেখানে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মহম্মদ শাহিন আখতার। এই ফল সামনে আসতেই সোনাপুর, মাঝিয়ালি, দাসপাড়া, ঘিরনিগাঁও-সহ চোপড়ার বিভিন্ন এলাকার বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুর এবং মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের কিছু কর্মীও জানিয়েছেন, এই হিংসার ঘটনায় তাঁদের দোকানও ভাঙা পড়েছে। যেমন তৃণমূল কর্মী মীনা সাহা বলেছেন, ‘‘আমি বিধায়ক হামিদুল রহমানের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। আমি তো তৃণমূল করি, তবুও আমার দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করা হল কেন?’’
যদিও দোকান ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের চোপড়া ব্লকের সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেছেন, ‘‘আমরা শান্তির পক্ষে। আমাদের কোনও কর্মী, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমার জানা নেই।"