বুথের বাইরে নেই কোনও জমায়েত। শান্ত পরিবেশেই ভোট হতে চলেছে পাহাড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
দলে দলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে রাজ্যে। তার পরেও প্রথম চার দফার ভোটে হিংসা এবং প্রাণহানি রোখা যায়নি। রাত পোহালেই পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতে চলেছে। তবে নীলবাড়ির দখল কার হাতে যাবে, তা নিয়ে মোড়ে মোড়ে বিতর্ক সভা বসে গেলেও, তুলনায় বেশ খানিকতা নির্লিপ্তই পাহাড়। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত অন্তত তেমন কোনো উন্মাদনা চোখে পড়ল না সেখানে।
শনিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং দার্জিলিংয়ে ভোটগ্রহণ। ডুয়ার্সের মাল মহকুমা এলাকা সংলগ্ন কালিংপং জেলার গরুবাথান ব্লকেও রাত পোহালেই ভোট। তার জন্য ইতিমধ্যেই দফায় দফায় প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন সব দলের প্রতিনিধিরাই। কিন্তু ব্যস্ত এলাকায় ইতি উতি কিছু ফেস্টুন দেখা গেলেও, গ্রামাঞ্চলে ভোটের প্রভাব তেমন পড়েনি বললেই চলে।
এই পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম ও বস্তি। কালিম্পং বিধানসভা আসনের জন্য সেখানে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার বিকালে গরুবাথান ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা গেল, ভোট নিয়ে তেমন উন্মাদনা নেই। বরং মানুষ এক প্রকার শান্তই রয়েছেন। গরুবাথান বাজারে কিছু ফেস্টুন দেখা গেলেও, প্রত্যন্ত ডালিম টার, আপার ফাগু এবং নিম বস্তি এলাকায় বিভিন্ন দলের কয়েকটি ছোট ছোট পোস্টার ছাড়া আর কিছু নেই ।
আপার ফাগুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার বিকেলেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা। তারও আগে থেকে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বুথের আশেপাশে বেশ খানিকটা এলাকা জুড়েই কোনও রাজনৈতিক দলের তাঁবু দেখা গেল না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছেই বাড়ি জুলিয়াস তামাংয়ের। তিনি বলেন, ‘‘আগামী কাল ভোট। তবে এখানকার পরিস্থিতি শান্ত।’’
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত পাহাড়ি গ্রাম ডালিম টার। এখানেও প্রাথমিক স্কুলেই ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ রাই বলেন, ‘‘ডালিম টার স্কুলেই আমাদের ভোট। সকাল সকাল ভোট দিয়ে দেব।’’
নিমবস্তির পাহাড়ি রাস্তায় হুড খোলা জিপে চেপে কয়েক জন মহিলাকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে দেখা গেল। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে সমর্থন শোনা গেল না তাঁদের মুখে। আবার স্থানীয় মানুষও তেমন আগ্রহ দেখালেন না তাঁদের নিয়ে। বরং বিকেলে এক পশলা শিলাবৃষ্টি নিয়েই আলোচনা কানে এল। ভোটও ঝঞ্ঝাটপূর্ণ হবে বলেই মনে করছেন সকলে।