(উপরে বাঁদিক থেকে) নীহাররঞ্জন ঘোষ, আব্দুল গনি। (নীচে বাঁদিক থেকে) সমর মুখোপাধ্যায়, সাবিত্রী মিত্র এবং একেবারে ডানদিকে রহিম বক্সি। নিজস্ব চিত্র
মালদহে ঐতিহাসিক ফল তৃণমূলের। তাতে ভর করে প্রত্যাশার পারদও চড়ছে জেলার জোড়াফুল শিবিরের একাংশের মধ্যে। জেলার ৮ বিধায়কের মধ্যে বেশির ভাগের যেন ঠাঁই হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়— এমনটাই চাইছে মালদহ।
ভোট প্রচারে গিয়ে মালদহবাসীর থেকে ‘আম, আমের আচার, আমসত্ত্ব’, সবই চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২ মে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি দখল করেছে তৃণমূল। এমনকি গত ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসের হাতের তালুবন্দি থাকা সুজাপুর আসনটিও রেকর্ড ভোট পেয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। এমন পরিস্থিতিতে জেলার জোড়াফুল শিবিরের একাংশের প্রত্যাশা তুঙ্গে।
সুজাপুরের তৃণমূল কর্মী কামাল হোসেন বললেন, ‘‘ঐতিহাসিক ফল হয়েছে এই কেন্দ্রে। রাজ্যে সর্বাধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন আবদুল গনি। গনি খান চৌধুরীর বাগানে ঘাসফুল ফুটিয়েছে সুজাপুরবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আবদুল গনিকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়ত্ব দেওয়া হোক।’’ একই সুর তৃণমূলের চাঁচোল ব্লকের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তীরও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মহাকুমা ঘোষণা হলেও চাঁচোল উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে। দলনেত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এলাকাবাসী নীহাররঞ্জন ঘোষকে এখানে জিতিয়েছেন। নীহাররঞ্জনকে মন্ত্রিসভায় আনা হোক।’’
মালদহের বাসিন্দা তথা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা সুমিত সরকার বললেন, ‘‘ভোট প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহবাসীর কাছে আম চেয়েছিলেন। মালদহবাসী আমের বাগান উপহার দিয়েছেন। তাই এই জেলা থেকে ২-৩ জনকে মন্ত্রী করলে জেলার যেমন উন্নতি হবে। তেমনই উত্তরবঙ্গেরও উন্নয়ন ঘটবে।’’
তৃণমূলের মালদহ জেলার সভাপতি তথা দলের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর আস্থা রেখেছেন মমতায়। তাঁর কথা, ‘‘দিদির উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ফলে মালদহ জেলার হাত শূন্য থাকবে না।’’