বাঁ দিকে গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস, ডান দিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের প্রচারে গিয়ে গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস ঠাকুরবাড়ির নামে অপপ্রচার করছেন বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতা বালা ঠাকুর। যদিও তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নরোত্তম।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় এ বারের তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। আর প্রচারের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘প্রচারে গিয়ে নরোত্তম ঠাকুরবাড়ির নামে অপপ্রচার করছেন। মানুষকে ঠাকুরবাড়িতে আসতে নিষেধ করছেন। সবাইকে বলছেন, ঠাকুরবাড়িতে যাবেন না। ঠাকুরবাড়িতে কিছু নেই। ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে কথা বললে মানুষ মেনে নেবে না। তিনি মানুষের সমর্থন হারাতে পারেন।’’ নরোত্তম মতুয়া নন বলেও তিনি দাবি তোলেন।
এই কথা অস্বীকার করেছেন নরোত্তম। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনওদিনই ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে ছিলাম না। এখনও নই। কোথাও প্রচারে গিয়ে ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, এটা কেউ বলতে পারবেন না। কেউ মতুয়া হয় তার চিন্তা-ভাবনায়, কর্মে, আদর্শে। ঠাকুরবাড়ির কয়েকজনের সঙ্গে আমার নীতিগত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য আমি ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনওদিন কিছু বলিনি।’’ বরং ঠাকুরবাড়ির জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন বলেই দাবি করেছেন নরোত্তম।
ভোটের আগে দলের দুই নেতার মধ্যে সমস্যা দলের ক্ষতি করতে পারে বলেই মনে করছে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল নেতৃত্ব। গোপাল শেঠ নামের এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এইসব বিজেপির উস্কানি। মমতার সঙ্গে কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে ছিল। দ্রুত সেটা মিটে যাবে। মমতা আমাদের দলের নেত্রী। তিনি ভোট প্রচারেও নেমেছেন।’’
এই ঘটনাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘মতুয়াদের এতদিন তৃণমূল ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতো। সেটা মতুয়ারা এখন বুঝে গেছে। গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সোনা চুরি করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার ভোটে তৃণমূল হারবে। তাই আগে থেকেই দলের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়েছে।’’