West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: ‘ফোনে আড়িপাতা নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেব’, গলসি থেকে আক্রমণ মমতার

পঞ্চম দফার ভোটের দিন পূর্ব বর্ধমানে তিনটি সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১ ১২:০৭
Share:

নিজস্ব চিত্র।

শনিবার রাজ্য জুড়ে চলছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। সেই দিনই পূর্ব বর্ধমানে তিনটি সভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম সভাটি গলসি বিধানসভা এলাকায়। পরেরটি কাটোয়া বিধানসভা এলাকায়। শেষেরটি পূর্বস্থলী উত্তর ও পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের জন্য সভা হবে বৈদ্যপুর খেলার মাঠে। এক নজরে দেখে নিন কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

১২.৩১ খেলা তো হবেই। আমার মা বোনেরা আসছেন, আমিও তাই মনের জোরে আসছি। ভোটটা দেবেন। মাথায় রাখবেন, আপনার নাম যেন ভোটার তালিকায় থাকে। আমি এনপিআর করতে দেব না। দরকার হলে পান্তা ভাব খাবেন, কিন্তু ভোটটা দেবেন। বিজেপি-কে একটা একটা করে গোল দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেবেন। ওদের কোনও কথায় বিশ্বাস করবেন না। জোড়াফুলে ভোট দিন। এই নির্বাচন বাংলার মায়ের সম্মানের নির্বাচন। বাংলাকে আমরা বিক্রি করতে দেব না। গুন্ডাদের হাতে বাংলা যাবে না। বাংলাকে গুজরাত করতে দেব না। ভোটে বিজেপি জিতলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সব লুটেপুটে খেয়ে পালাবে।

১২.২৭ সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেসরকারীকরণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় টাকা দিতে এলে বলবেন, ক্যাশ চাই না, বিনা পয়সায় গ্যাস দিন। বিজেপি হিন্দু ধর্ম শেখাতে আসছে। আমরা মানবতার ধর্মে বিশ্বাস করি। ওঁরা স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণের ধর্ম মানে না। মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে বিজেপি। আগে কাজ করেনি কেন? সারা ভারতবর্ষে সরকার চলছে, কোথাও তো বিনামূল্যে ট্রেনে চড়ার ব্যবস্থা করেনি, এখানে এসে বড় বড় কথা বলছে। আমি ইজ্জত প্রকল্প চালু করেছিলাম রেলমন্ত্রকে থাকাকালীন। সেটা বাতিল করে দিয়েছে। আমার দাবি, রেলের ইজ্জত ফিরিয়ে দাও।

Advertisement

১২.২১ আমরা বললাম, নির্বাচন একসঙ্গে করা দাও, করল না, সময় কমিয়ে দিল। কেন কমিয়ে দেওয়া হল? আমাদের নির্বাচনে প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া হল। তিনটি দফার নির্বাচন একসঙ্গে হতেই পারত। কিন্তু কমিশন সেটা করল না, এ দিকে প্রচারের সময় কমিয়ে দিল। আমি কার সঙ্গে কথা বলছি, তা ট্যাপ করা হচ্ছে। এটা একটা বড় দুর্নীতি। কে আমার ফোনে আড়ি পাতছে, আমি জানতে চাই। আমি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেব। সবার ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি জানি কারা ফোনে আড়ি পাতছে। সরকার গড়ার পর আমি তদন্তের নির্দেশ দেব।

১২.১৫ মহিলাদের নিজেদের জন্য ভোটে জিতলেই হাত খরচা দেওয়া হবে। কন্যাশ্রী পায় ছাত্রীরা। সংখ্যালঘুদের ঐক্যশ্রী আছে। আগামী দিনে সরকার গড়লে পড়াশোনা করার জন্য ঋণ দেবে সরকার। রাজ্য গ্যারান্টার হবে। কোভিড নিয়ে চিন্তা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। কোভিডটাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাস কোভিড ছিল না, তখন টিকা দেয়নি। আমি কিনতে চেয়েছিলাম, এখনও দেয়নি। বহিরাগত গুন্ডারা বাংলায় বসে আছে। প্রায় ১০ হাজার লোক এসে বসে আছে, কোভিড নিয়ে এসেছে। আমাদের রাজ্যে যতটুকু কোভিড হয়েছে, তা হয়েছে ওই বহিরাগতদের জন্য।

১২.০৮ দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গে যোগাযোগের বিশেষ ব্যবস্থা। বাণিজ্য করিডোর তৈরি হবে। সেখানে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। দেউচা পচামির সুযোগ পাবে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া। কর্মতীর্থ হয়েছে। কৃষকদের ধান কিনে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই চাল পাচ্ছেন মানুষ। বর্ধমানের কৃষকদের তৈরি করা চাল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এত ধান ফলাই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের থেকে কম ধান কেনে। আমরা ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনি। কাপড়ের বরাত পান তাঁতিরা। বাইরে থেকে আমরা কিনি না। নতুন সরকার তৈরি করার পর বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। কৃষকদের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, প্রান্তিক কৃষকদের ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement