কাঁথির সভায় রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর এক পায়ে আঘাত। তবে বিজেপিকে বাংলার বাইরে পাঠাতে তাঁর আর একটি সুস্থ পা-ই যথেষ্ট। চাইলে ‘এক শটে’ বাংলার বাইরে ফেলতে পারেন। হুইল চেয়ারে বসে কাঁথির মঞ্চ থেকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জখম পা নিয়েই একের পর এক সভা করছেন মমতা। ভাঙা পায়ে যে তাঁকে আটকানো যাবে না, তা প্রত্যেক সভাতেই বলে এসেছেন। রবিবার তাঁর সভা ছিল উত্তর কাঁথির মারিসদায়। চেনা ভঙ্গিতেই ‘‘খেলতে হবে, লড়তে হবে, জিততে হবে’’ স্লোগান দিচ্ছিলেন মমতা। তারপরই কিছুটা আগ্রাসী সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। মমতা বললেন, ‘‘যারা ভাবছে, একটা পা তো ভাঙা। আরেকটা পায়ে কী করব? তাদের বলছি, এক পায়ে আমি এমন শট মারব না, যে একেবারে বোল্ড আউট হয়ে বাংলা থেকে বেরিয়ে যাবে।’’
প্রচার সভায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে মমতার লাগাতার আক্রমণ নিয়ে রবিবারই কমিশনে গিয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাজ্যের মুখপাত্র শিশির বাজোরিয়া এবং অর্জুন সিংহ ছিলেন ওই প্রতিনিধি দলে। কমিশনের কাছে মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, মমতা বিভিন্ন প্রচারসভায় কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এ ভাবে সুস্থ নির্বাচন চলতে পারে না। কমিশন অবিলম্বে তাঁকে নোটিস পাঠাক।
বস্তুত, প্রত্যেকটি সভাতেই বিজেপিকে বহিরাগত, দাঙ্গাবাজ জাতীয় নানা বিশেষণে আক্রমণও করছেন। এমনকি বিজেপি-র যাবতীয় ‘অত্যাচার’ থেকে বাঁচাতে তিনি একাই বাংলার গোলরক্ষক সে কথাও মমতা জানিয়েছেন বারবার। সরসারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম করেই বললেন, ‘‘শুনলাম আগেরদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাঙালিদের ডিএনএ পরীক্ষা করবেন। এত বড় অপমানজনক কথা তো আগে কেউ বলতে পারেনি।’’ রীতিমতো উত্তেজিত দেখাচ্ছিল তাঁকে। কথা বলতে বলতে খেই হারালেন দু’-একবার। এরপর মমতা বললেন, ‘‘তুমি ডিএনএ টেস্ট করবে? তোমার এত বড় সাহস? এসো ডিএনএ টেস্ট করতে। তোমাকে ভাল করে দিয়ে দেব। সুন্দর করে দিয়ে দেব।’’