মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতে নিহত আনন্দ বর্মণের দাদু ক্ষিতীশচন্দ্র রায়। নিজস্ব চিত্র।
শীতলখুচি-কাণ্ডে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর শীতলখুচি সফরের দিনেই মাথাভাঙা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছে গেরুয়া শিবিরের সংখ্যালঘু মোর্চা।
বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার কোচবিহার জেলার সভাপতি সিদ্দিক আলি মিয়াঁ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত ৭ এপ্রিল মাথাভাঙার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহিলাদের ঝাঁটা, হাতা লাঠি, খুন্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে নির্দেশ দেন। এক দল মানুষকে ঘেরাও করা এবং আর এক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তার জেরেই গত ১০ এপ্রিল জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে গণ্ডগোল বাধে এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়’। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বুধবার মাথাভাঙায় গত ১০ এপ্রিল শীতলখুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। একই দিনে বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে মাথাভাঙা থানায় ওই অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, ‘‘বহুবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাঁরা ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী পক্ষপাতিত্ব করলে তবে মহিলারা প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন। বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চা প্রচারে আসতেই এই অভিযোগ করছে। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন। এসব করে কোনও লাভ নেই।’’