ফাইল চিত্র।
দমবেন না দিলীপ ঘোষ। ‘বাড়াবাড়ি’ হলে আবার শীতলখুচি হতে পারে বলে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
রবিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের সিউড়ি শহরের বেণীমাধব মোড়ে আয়োজিত প্রচার সভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এ বার সব থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট বীরভূমে হবে। কারও হিম্মত নেই একটা ভোট আটকে দেয়, চমকে দেয়। তা হলে আবার শীতলখুচি হতে পারে!’’ তৃণমূলের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনারা ভাববেন না, এই যে সুরক্ষা বাহিনী এসেছে তারা খুব শান্তশিষ্ট, ঠান্ডা ঠান্ডা। তাদের বন্দুকের গুলি কিন্তু বেশ গরম।’’
গত ১১ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন কোচবিহারের শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি। ঠিক তার পরের দিন বরাহনগরে একটি নির্বাচনী জনসভায় দিলীপ বলেন, ‘‘ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলখুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি হবে।’’
এর পরেই নির্বাচন কমিশনে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকে তৃণমূল। তারা দাবি করে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তিনি এই হিংসার ঘটনা সমর্থন করেন। এর পরে তাঁকে শো-কজের নোটিস পাঠায় কমিশন। জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তার পরেও যে তিনি দমেননি, তা এ দিনের সভা থেকেই স্পষ্ট।
শুধু সিউড়িতেই নয়, এ দিন বিকেলে দুবরাজপুরের জনসভায়ও শীতলখুচির প্রসঙ্গ তুলে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে মহিলারা ধর্ষণের শিকার হলে অসম্মানিত মুখ্যমন্ত্রীর দুঃখ হয়
না। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান না। এর পরেই বলেন, ‘‘আপনার এই অবস্থা কেন হল। শীতলখুচিতে যারা বন্দুক লুট করতে আসে, যারা ইভিএম লুট করতে আসে, তারা গুলি খেয়ে মারা গেলে তখন চোখের জল ফেলেন।’’
বীরভূমের এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘ওঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতেই ইচ্ছা করে না। মানুষের মৃত্যুতে কি খুশি হওয়া যায়? আসলে বিজেপি দলটাই এমন!’’