Election Commission

Bengal Polls: রাজ্য পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে না কমিশন, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে উৎসাহ

প্রশাসনিক মহলের খবর, ভোটের কাজে রাজ্য পুলিশকে মোটেই গুরুত্বহীন করে রাখা হবে না।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোট-প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উপর সমান গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে, এটা ধরে নিয়েই বাহিনী মোতায়েনের রূপরেখা তৈরি করতে চাইছেন কমিশন-কর্তারা। এ ব্যাপারে রাজ্যের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিশেষ পর্যবেক্ষকদের মনোভাবের স্পষ্ট ইঙ্গিতও পেয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।

Advertisement

রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রেখে ভোট করাতে হবে— শুরু থেকেই এই দাবিতে সরব বিরোধীরা। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি পুরোপুরি মানছেন না বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা। প্রশাসনিক মহলের খবর, ভোটের কাজে রাজ্য পুলিশকে মোটেই গুরুত্বহীন করে রাখা হবে না। বরং তাঁদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে উজ্জীবিত করে ভোট-নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হবে, এই বার্তা কমিশন দিয়েছে।

এক কমিশন-কর্তাও বলছেন, “ভোট-নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এলাকা চেনেন, স্থানীয় সমস্যা-মানসিকতার সঙ্গে পরিচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কাজ করতে হলে পুলিশের অফিসারদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই বার্তা প্রশাসনের শীর্ষমহলকেও দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষতার সমস্যা বাধা হবে না।”

Advertisement

ভোট ঘোষণার পরেই প্রথমে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এবং পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কেই অপসারণ করে নতুন অফিসার নিযুক্ত করেছে কমিশন। প্রবীণ আমলাদের মতে, ডিজি-কে সরানো শুধু নজিরবিহীনই নয়, বরং পুলিশের সর্বস্তরের অফিসারদের উদ্দেশে সুনির্দিষ্ট এবং কড়া বার্তা দেওয়ার কৌশলও। স্বাভাবিক ভাবেই বাহিনীর অন্য পদের অফিসারেরা নিজেদের আচরণ সম্পর্কে আগের থেকে বেশি সচেতন হবেন। উপরন্তু, রাজ্য পুলিশের নবনিযুক্ত ডিজি-ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে এবং কমিশনের মনোভাব বুঝে বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন। তাই বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে আপাতত সন্দিহান নন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।

সূত্রের খবর, এখনও প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশকেও ব্যবহার করা হবে। কুইক রেসপন্স টিমে (কিউআরটি) রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। একেকটি কিউআরটি-তে আট জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। মহকুমা এবং জেলাস্তরে স্ট্রাইকিং বাহিনীতেও রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রাখা হবে। ভোটপরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে যেখানে ব্যবহার করা হবে, সেখানে থাকবে রাজ্য পুলিশও।

কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য, “রাজ্য পুলিশকে সঠিক ভাবে পরিচালন করলে তারাও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement