জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ম়ৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী ও বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারপরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
সূত্রের খবর, পুলিশ মৃতদেহ তুলতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় গ্রামবাসীদের। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পাল্টা ইট ছোড়েন গ্রামবাসীরা। ইটের আঘাতে কয়েক জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। পুলিশের মারে বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে পুকুর পাড় থেকে পতিহার ডোম (৩৭) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরবেরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
বিজেপি-র দাবি, তাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন পতিহার। সেই জন্যই ভোটের আগে তাঁকে খুন হতে হয়েছে। ভয় দেখিয়ে পতিহারের স্ত্রীকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাঁকে সামনে আনলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন বিজেপি-র দুবরাজপুরের মণ্ডলের সভাপতি সাধন ধীবর। এলাকার বুথ সভাপতিকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অবশ্য বিজেপি-র অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি-র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদের জেরেও এই খুন হয়ে থাকতে পারে। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই।