সব প্রার্থীকেই মাথায় রাখতে হচ্ছে তাঁদের ভোট কর্মীদের সুরক্ষার কথা। ফাইল চিত্র
শেষ দফায় উত্তর কলকাতার সাতটি আসনে ভোট। কোভিড পরিস্থিতিতে সব প্রার্থীকেই মাথায় রাখতে হচ্ছে তাঁদের ভোট কর্মীদের সুরক্ষার কথা। ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে যাতে কর্মীরা অযথা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিত না তৈরি করে ফেলেন সেদিকেই নজর প্রার্থীদের। তাই দলীয় কর্মীদের মাস্ক স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সব দলই।
এ বারের ভোটে কাশীপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। যিনি দীর্ঘ ১০ বছর মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্যের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার দিনভর বিধানসভা এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কোভিডবিধি মেনেই যাতে কর্মীরা ভোটগ্রহণ পর্বে অংশ নেন, সেই নির্দেশও দিয়ে এসেছেন। অতীন বলেন, ‘‘৮০-র দশক থেকে ভোটে লড়াই করছি। কিন্তু এ বারের মতো পরিস্থিতি কোনও বার ছিল না। তাই ভোটের দিনের জন্য যেমন রণনীতি নিয়ে বৈঠক করতে হচ্ছে। তেমনই কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।’’
তিনবারের বিধায়ক এন্টালির স্বর্ণকমল সাহা। এ বারও তৃণমূল প্রার্থী তিনিই। নির্বাচন কমিশন ভোট পরিচালনার জন্য বেশকিছু বিধিও বেঁধে দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলিকে। সেই নির্দেশনামার কথা জেনে স্বর্ণকমল বলেন, ‘‘ভোটের দিন যাতে অযথা কর্মীরা ভিড় না জমান সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্প অফিসে দু’জনের বেশি কর্মী থাকবেন না। প্রত্যেক ক্যাম্প অফিসে মাস্ক ও স্যানিটাইজার থাকবে। বুথের ভেতরে যাঁরা থাকবেন তাঁরা কমিশনের বিধি মেনেই চলবেন। ভোট করতে গিয়ে যাতে কেউ সংক্রমিত না হয়ে পড়েন সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে।’’
বিরোধী শিবিরের হলেও এ ক্ষেত্রে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বেলেঘাটার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী রাজীব বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘‘ইচ্ছে থাকলেও সব ভোটারকে আমরা মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিতে পারিনি। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে ভোটের প্রচারের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের বিষয়েও প্রচার করেছি। কোভিডবিধি মেনেই আমরা ভোটের কাজ করব। কারণ সবার আগে মানুষের জীবন।’’
চৌরঙ্গি আসনে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক। তিনি বলছেন, ‘‘কোভিডবিধি মেনে চলাই এখন আমাদের কথা একমাত্র পথ। আর আমিই পশ্চিমবঙ্গের এমন একজন প্রার্থী যে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি। এ জন্য আমি বাড়তি কোনও কৃতিত্বের দাবি করছি না। তবে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি কর্মীদের করোনা নিয়ে সতর্ক থাকার যাবতীয় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি।’’