প্রতীকী ছবি।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী এবং দুই মেদিনীপুরে দলের অন্য প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আসছেন জলপাইগুড়ির প্রচারেও। বিজেপি সূত্রের খবর, দিনকয়েক জেলায় থাকতেও পারেন স্মৃতি। আসছেন আদিবাসী নেতারাও। সেই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরাওঁ এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি। এই দুই নেতাকে চা বলয়ে প্রচারে পাঠানোর কথা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। জলপাইগুড়ি জেলায় বিধানসভা ভোট চতুর্থ পর্বে, আগামী ১৭ এপ্রিল। সূত্রের খবর, এপ্রিলের দ্বিতীয় দিন থেকে জেলায় প্রচারে গতি আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। তার আগে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিচ্ছে বিজেপি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলায় কুড়িজন প্রচারকের নাম পাঠিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সকলে দলের প্রার্থীদের হয়ে বিভিন্ন বিধানসভায় প্রচার চালাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জেলায় প্রচারে আসবেন বলে বিজেপির দাবি। তাঁরা বড় জনসভা করবেন। জেলায় ঘাঁটি গেড়ে প্রচার যাঁরা চালাবেন সেই তালিকায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের থাকার জন্য ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলার একটি আবাসনে বড় ফ্ল্যাট ভাড়া করেছে বিজেপি। সেখানে তিনটে ঘরে বসানো হয়েছে বাতানুকূল যন্ত্র। কেনা হয়েছে রান্নার বাসনপত্র। তিনজন রাঁধুনিকে মাইনে দিয়ে দু’মাসের জন্য রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, দুটি রান্নাঘর রয়েছে আবাসনে। একটি ঘরে সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ রান্নার বন্দোবস্ত হচ্ছে বলে খবর।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বহু নেতা প্রচারে আসবেন। রাজ্যের নেতারা, রাজ্যের বাইরের নেতারাও আসবেন। নেতা-মন্ত্রীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। তবে সেগুলি খুবই সাধারণ।” গত লোকসভা ভোটের নিরিখে জলপাইগুড়ি লোকসভার ছ’টি বিধানসভায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে সংগঠনের জোর না থাকলে সাফল্য মেলা মুশকিল বলে দলের নেতারাই দাবি করেন। সেই কারণে তারকা প্রচারকেরা এলেও বাড়ি বাড়ি প্রচারের জন্য বেশি দিন রেখে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির একটি ইস্তাহার কমিটি রয়েছে জেলায়। যে কমিটির জেলার শীর্ষে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। সূত্রের খবর, দলের প্রার্থী ঘোষণার পরেই সেই ইস্তাহার কমিটিকে প্রচারে নামানো হবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের যে পরিকল্পনা বিজেপি করেছে তাতে ইস্তাহার কমিটিকে কাজে লাগানো হবে। প্রতি বাড়িতে গিয়ে ইস্তাহার দেওয়ার সঙ্গে দলের প্রার্থীর সম্পর্কেও জানাবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও মহল্লায় নিয়ে গিয়ে ঘোরানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বসে আলোচনাও হতে পারে বলে খবর।