সেই বাইক মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় সাইকেলে প্রচার চলছে। অথচ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে চলা রোড-শোতে বাইক মিছিলের অভিযোগ ঘিরে বিতর্কে জড়াল বিজেপি।
শেষ রবিবাসয়ীয় প্রচার। খড়্গপুর(গ্রামীণ) বিধানসভার দলের প্রার্থীর সমর্থনে রোড-শোর আয়োজন করেছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের উপস্থিতিতে সেই রোড-শো হয়। হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন দিলীপ। তাঁর সামনেই দেখা যায় প্রায় ৪০টি বাইকের মিছিল। এমন ঘটনা ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বার বাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি কমিশন। প্রচারের কাজে পাঁচটির বেশি গাড়ি বা বাইকের ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। অথচ এ দিন দিলীপের উপস্থিতিতে চলা রোড-শোতে কীভাবে বিপুল সংখ্যক বাইকের মিছিল হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায় বলেন, “বিজেপি বারবার বিধিভঙ্গ করায় আমরা নির্বাচন কমিশনে বহু অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। আমি শুনলাম, বিজেপি বিপুল সংখ্যক বাইকের মিছিল করেছে। আমরা কমিশনে ফের অভিযোগ জানাব। কিন্তু কমিশন পদক্ষেপ না করলে এ বার আমাদের কর্মীরাও বাইক মিছিল করবে।” বিজেপি প্রার্থী তপন ভুঁইয়ার প্রতিক্রিয়া, “আমাদের পাঁচটি বাইকের অনুমতি ছিল। সেই পাঁচটি বাইকেই দলের পতাকা বাঁধা ছিল। কিন্তু দলের রাজ্য সভাপতিকে দেখে সাধারণ মানুষ অতি উৎসাহে বাইক নিয়ে চলে আসায় চারশো বাইকের মিছিল হয়েছে।” ঘটনাটি নিয়ে খড়্গপুরের রিটার্নিং অফিসার কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও বাইক র্যালি করা যাবে না। আমরা প্রচারের জন্য পাঁচটি গাড়ি ও বাইকের অনুমতি দিয়েছিলাম। এর পরে কী হয়েছে জেনে পদক্ষেপ করব।”
দিলীপ এ দিন রোড শো করেছেন গড়বেতাতেও। দিলীপের এক পাশে ছিলেন গড়বেতার দলীয় প্রার্থী মদন রুইদাস। অন্যপাশে প্রদীপ লোধা। মদনকে দল প্রার্থী করায় মেনে নিতে পারেননি প্রদীপ। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়ে গড়বেতায় ‘নির্দল’ প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন প্রদীপ। তাঁকে ডেকে বৈঠক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রদীপ প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার বিকেলে দিলীপের রোড শোয়ে ঐক্যের ছবি দেখাল বিজেপি। হেলিকপ্টারে আসেন দিলীপ। গড়বেতা হাইস্কুল মাঠ থেকে রোড শো শুরু হয়ে বিবেক মোড়, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে ধাদিকায় গিয়ে শেষ হয়।