West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: প্রচার কৌশলে বড় বদল পদ্মের, নেতাদের সঙ্গ এড়িয়েই বাংলায় সফর চান মোদী-শাহ

মোদীর মঞ্চে দেখা গেল না রাজ্য নেতৃত্বের কোনও প্রথম সারির মুখকে। সমাবেশ সামলালেন দলের যুব সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ০৮:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র

ব্রিগেড, পুরুলিয়া, খড়্গপুর, বাঁকুড়া। বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে রবিবার চতুর্থ সমাবেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই চতুর্থ সমাবেশে এক বড় ফারাক নজরে এল। মোদীর মঞ্চে দেখা গেল না রাজ্য নেতৃত্বের কোনও প্রথম সারির মুখকে। সমাবেশ সামলালেন দলের যুব সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

Advertisement

একই দৃশ্য এগরায় অমিত শাহর সভাতেও। বিজেপি-র মঞ্চে ‘নবাগত’ শিশির অধিকারী থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বের তেমন কারও দর্শন মিলল না। এমনকি, শিশিরের মেজপুত্র নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন না। অথচ মাত্র ২০ কিলোমিটার দূর পটাশপুরেই রবিবার সভা ছিল শুভেন্দুর। মঞ্চে অমিতের মূল সঙ্গী ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

মোদী বা শাহ যে কারও সভাতেই থাকতে পারতেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারণ, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মাঝের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে রবিবার কর্মসূচি ছিল তাঁর। কিন্তু কোনও সভাতেই দেখা যায়নি তাঁকে। তিনি প্রথমে খড়্গপুর গ্রামীণ ও পরে গড়বেতায় সভা করেছেন। সন্ধ্যায় দলের ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অবশ্য অমিতের সঙ্গে ছিলেন দিলীপ। কিন্তু কোনও সমাবেশে নয়।

Advertisement

এটাই পদ্মশিবিরের নতুন প্রচার কৌশল। মোদী বা শাহর সভা মানেই নেতাদের ভিড় নয়। একই সময়ে আলাদা আলাদা জায়গায় প্রচার করবেন তাঁরা। আর যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা তো নিজের বিধানসভা এলাকাতেই থাকবেন। বিশেষ ডাক না পেলে প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় হাজিরা দিতে হবে না। শুধু রাজ্য নেতারাই নয়, বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কৌশল ভিন্‌রাজ্য থেকে বাংলায় আসা নেতা মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। রবিবার রাজ্যে প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। পুরুলিয়ায় সমাবেশ ছিল তাঁর। চাইলে কাছেই বাঁকুড়ায় মোদীর সমাবেশে হাজিরা দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু যাননি। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সিদ্ধান্ত মেনেই অর্জুন পুরুলিয়ার আগে বাঁকুড়ায় যাননি। একই ভাবে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়রা নিজের নিজের এলাকাতেই প্রচারে ব্যস্ত থেকেছেন রবিবার। নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তরা। একই দিনে রাজ্যে মোদী ও শাহ যখন উপস্থিত তখন এমন দৃশ্য সত্যিই বেনজির।

মঙ্গলবার ফের রাজ্যে অমিতের সফর। সভা করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। পরের দিন বুধবার কাঁথিতে সভা মো‌দীর। বিজেপি সূত্রে খবর, সেখানেও স্থানীয় প্রার্থী ও জেলা নেতৃত্বের বাইরে শুধু যাঁদের যেতে বলা হবে তাঁরাই হাজিরা দেবেন। অন্যরা নয়। বাংলায় প্রথম তিন দফায় ভোটগ্রহণ ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল ও ৬ এপ্রিল। এই তিন দফায় ভোট রয়েছে অসমেও। তাই ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোদী ও শাহ বাংলার পাশাপাশি অসমেও সময় দেবেন। কিন্তু তার পরে বাংলায় ভোটগ্রহণ চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রচারের শেষ দিন ২৭ এপ্রিল। সেই সময়টায় বাংলার প্রচারে আরও জোর দেবেন মোদী ও শাহ। রাজ্য বিজেপি চায়, প্রতিটি জেলাতেই যেন পদ্মশিবিরের দুই সেনাপতির একটা না একটা সভা হোক। রাজ্যের সব প্রার্থীই যেন মোদী বা শাহর কোনও না কোনও সভায় হাজির থাকতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement