বাঁকুড়ার তিলাবেদ্যার মাঠে জনসভার প্রস্তুতি। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় ভিড় দেখে উজ্জীবিত বাঁকুড়ার বিজেপি কর্মীরাও। কাল, রবিবার বাঁকুড়ায় নির্বাচনী সভা করতে আসছেন মোদী। তার আগে, শুক্রবার বাঁকুড়া ২ ব্লকের তিলাবেদ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে ব্যপক তোড়জোড় দেখা গিয়েছে। এ দিন সকালে সভাস্থল লাগোয়া হেলিপ্যাডে কপ্টারের মহড়া হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পুলিশ কর্তারা। বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার পাশাপাশি, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও সভাস্থল ঘুরে দেখেন।
সম্প্রতি জেলায় ভোট প্রচারে আসা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভার ভিড় নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। সদ্য খাতড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাইপুরের ফুলকুসমায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কোতুলপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সভা করে গিয়েছেন। তিনটি জায়গায় মাঠ ফাঁকা ছিল বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
বুধবার শালতোড়ায় রোড শো করতে এসে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন, ‘‘বিজেপির সভায় ভিড় হচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরা সভা বাতিল করছেন।’’ যদিও তা মানেনি বিজেপি শিবির। দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সব সভাতেই মাঠ উপচে পড়া ভিড় জমছে।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় মোদীর জনসভায় ব্যপক ভিড় দেখা গিয়েছে। যা অক্সিজেন জুগিয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি শিবিরকেও। নেতৃত্বের নির্দেশে মোদীর সভার প্রচারে তাই ঘরে ঘরে গিয়ে সভার আমন্ত্রণপত্র বিলি করছেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “মোদীজির সভার প্রচার কেবল বুথে বুথেই নয়, বাড়িতে বাড়িতে চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। দলীয় কর্মীরা মানুষের বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানুষের উৎসাহ সীমাহীন।”
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষবার বাঁকুড়ায় সভা করতে এসেছিলেন মোদী। সেই সভার ভিড় মাঠ উপচে পড়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার দু’টি কেন্দ্রে জেতার পাশাপাশি, জেলার বারোটি বিধানসভাতেই ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিবেকানন্দবাবু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এখন আমাদের সংগঠন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। অন্য দিকে, দিনের পর দিন দুর্বল হয়েছে তৃণমূলের সংগঠন। ফলে এ বার লোকসভার চেয়েও ভাল ফলাফল করব আমরা।”
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, “বিজেপি জেলার একটিও বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পাবে না। ওদের দলটা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনে ভরে গিয়েছে। মানুষ কোনও দিন ওদের সমর্থন করবে না।”