হেমতাবাদের সভায় অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেও জনতা তাঁর ইস্তফা চায় না, শীতলখুচির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন অমিত শাহ। শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে নীরিহ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন মমতা। সোমবার, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই আস্থা রাখতে বললেন শাহ।
সোমবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে সভা ছিল শাহ-র। হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল গুণ্ডারা আপনাদের ভয় দেখিয়েছিল, ভোট দিতে দেয়নি। তবে ২২ এপ্রিল ওদের দেখা পাওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী আপনাদের নিরাপত্তা দেবে। আপনারা নিশ্চিন্তে ভোট দেবেন।’’
হেমতাবাদের সভার মঞ্চে সোমবার শুরু থেকেই কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন শাহ। শীতলখুচির ঘটনার পর মমতা তাঁর ইস্তফার দাবি করার পর বাংলায় এই প্রথম জনসভা ছিল শাহ-র। হেমতাবাদের প্রচার সভার মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রীকে ইস্তফা প্রসঙ্গে জবাব দিলেন শাহ। বললেন, ‘‘দিদি আজকাল আমাকে পদত্যাগ করার কথা বলেই চলেছেন। আমি বলছি বাংলার জনগন যদি বলে আমি পদত্যাগ করব।’’ এরপরই জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন অমিত, ‘‘আপনারা কি আমার পদত্যাগ চাইছেন?’’ জবাবে সভায় উপস্থিত জনতা সমস্বরে ‘না’ বললে, শাহ বলেন, ‘‘দিদি জনতা তো আমার পদত্যাগের বিষয়ে না বলে দিচ্ছে!’’
সোমবার বিকেলে বিজেপির হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের প্রার্থীদের সমর্থনে ওই জনসভার আহ্বান করে বিজেপি। বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার নামে মহারাজার জনসভা লাগোয়া মাঠে। পরে সভায় পঞ্চায়েত ভোটের কথাও উঠে আসে শাহর কথায়। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্রনাথ রায় তৃণমুলের গুন্ডাদের হাতে খুন হয়েছেন। ২রা মে এর পর বিজেপি সরকার হতে চলেছে। তৃণমুলের গুন্ডারা শুনে রাখো বিজেপি সরকার গঠনের পর তোমরা পাতালে লুকিয়ে থাকলে, মাটি খুড়ে সেখান থেকে বেড় করে গরাদের পেছনে পাঠাবো।’’
তবে এদিন সভায় তৃণমুলকে আক্রমণ করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এইমস করার প্রতিশ্রুতিও দেন শাহ।