ফাইল চিত্র।
ফল ঘোষণার পর বুধবার সকালে রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণের সূচিও চূড়ান্ত করে ফেলল রাজ্য বিধানসভার সচিবালয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিন ধরে রাজ্যের ২৯১ জন বিধায়ক শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৬ মে ১৪৩ জন ও ৭ মে ১৪৮ জন বিধায়ক শপথ নেবেন বলে ঠিক হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় থেকে ১টা পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা-সহ মোট ৭৪ কেন্দ্রের বিধায়করা শপথ নেবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝা়ড়গ্রাম থেকে নির্বাচিতরা শপথ নেবেন।
শুক্রবারও একঝাঁক নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণের কর্মসূচি ঠিক করেছে বিধানসভার সচিবালয়। ওই দিন সকাল ১১টা-১টা পর্যন্ত পুরুলিয়া, বাকুঁড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভুম এবং নদিয়ার বিধায়করা শপথ নেবেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ-সহ মুর্শিদাবাদ জেলার বিধায়করা শপথ নেবেন।
প্রসঙ্গত, প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে যদিও তিনিই জয়ী হয়েছেন। তাই এই তিন আসন এখনও খালি রয়ে গিয়েছে। এখন বিরোধী বিধায়ক বলতে বিজেপি-র ৭৮-সহ, আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ বুধবার শপথগ্রহণ করলেও, বিজেপি বিধায়করা শাসকদলের বিধায়কদের সঙ্গে শপথগ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।