নিহত আনন্দ বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাণহানি এড়ানো গেল না চতুর্থ দফার ভোটেও। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল এক তরুণের। সদ্য আঠেরো পেরনো ওই তরুণের প্রথম ভোট ছিল এ বার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃত তরুণের পরিবার। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
মৃত ওই তরুণের নাম আনন্দ বর্মণ। ওই তরুণ এবং তাঁর পরিবারের লোকজন বিজেপি-র সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। ওই তরুণের এক তুতো দাদা জানিয়েছেন, পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ নম্বর বুথে সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সবে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সেই সময় আচমকাই তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দু’পক্ষই।
তিনি জানান, আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সকলে। প্রাণ বাঁচাতে লাইন ভেঙে ছুটতে শুরু করেন। সেই সময় পিছনে থাকা আনন্দের পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, গুলি লাগার পর সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙুল তুলেছে আনন্দের পরিবার। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেছেন, এই ঘটনা বিজেপি-র গোষ্টিদ্বন্দ্বেরই ফল।
এই দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ব়্যাফ নামানো হয়েছে। ঘটনার পর বেআইনি জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ ৷ যদিও তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়েই কাজ করছে।