মুকুটমণি অধিকারী। ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা ভোটে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা সংক্রান্ত সমস্যায় একেবারে শেষ মুহুর্তে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া হয়নি মুকুটমণি অধিকারীর। ঠিক দু’বছরের মাথায় ফের সেই একই বিষয় কেন্দ্র করে বিধানসভা ভোটে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জল্পনা চলছে। এমনও শোনা যাচ্ছে যে, মুকুটমণির বদলে তাঁর বাবা প্রার্থী হবেন!
যদিও মুকুটমণি নিজে সে সব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, আইনগত ভাবে এ বার ভোটে দাঁড়ানোয় কোনও বাধাই তাঁর নেই। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই সরকারি চিকিৎসক পদ থেকে তাঁর ইস্তফা অনুমোদন করে ছাড়়পত্র দিয়েছে ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল’ বা ‘স্যাট’। তাঁর অভিযোগ, কিছু ‘কুচক্রি’ লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুয়ো খবর রটাচ্ছে। এদের মধ্যে বিরোধীদের পাশাপাশি তাঁর নিজের দলের কিছু মানুষও যে আছে, এমন ইঙ্গিতও তাঁর কথায় মিলেছে।
২০১৮ সালের অগস্টে হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মুকুটমণি চিকিৎসক হিসাবে যোগ দেন। তাঁর দাবি, “আমাকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। চার-পাঁচ বছর পরে আমার স্থায়ী হওয়ার কথা। কাজেই আমার ইস্তফা কেউ আটকে রাখতে পারে না।”
লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বাস্থ্য দফতর তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি। তিনি তখন স্টেট ট্রাইব্যুনালে যান। এর মাঝে তিনি কখনও কাজে যাননি। বেতনও পাননি। মুকুটের দাবি, “ফেব্রুয়ারি মাসে স্যাট আমাকে রিলিজ দেওয়ার পরে রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছে। তার শুনানি শুরু হয়নি। ফলে আমার ভোটে দাঁড়াতে কোনও বাধা নেই।’’
যদিও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘উনি যে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, সেখানে ৫ বছর চাকরি না করলে কারও ইস্তফা গৃহীত হয় না। ফলে আমরা হাইকোর্টে গিয়েছি। সেখানে আগামী সপ্তাহে শুনানি আছে। তার আগে উনি মনোনয়ন জমা দিলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বুঝবে।’’
এ দিকে মঙ্গলবারই আবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপির কয়েক জন! তাঁদের যুক্তি, “এখানে আমাদের দলের প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী। যদি তাঁর মনোনয়নে কোনও সমস্যা হয়, তাই ডামি প্রার্থী হিসাবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।’’ যদিও মুকুটমনি দাবি করেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।