দুর্নীতি-জুজু
সারদা ছিলই। নারদ এসে তৃণমূল-বিরোধিতার অস্ত্রের শান বাড়িয়েছে। ভোটের মুখে টাটকা দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়ানোয় শাসকদল যে চাপে রয়েছে, ফের সেই ইঙ্গিতই যেন মিলল যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। শুক্রবার পুরুলিয়ার বোরোয় অভিষেক বলেন, ‘‘সিপিএমের আমলেও দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু ওরা এ পর্যন্ত ক’টা নেতা বা জনপ্রতিনিধিকে জেলে ঢুকিয়েছে? আমরা জনপ্রতিনিধিকেও ছাড়িনি। তাঁকে জেলে ঢুকিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’’ ভোট-প্রচারে পুরুলিয়ায় হাজির সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের পাল্টা, ‘‘আমাদের এক জন নেতা-কর্মীকেও উনি (মুখ্যমন্ত্রী) গ্রেফতার করতে পারেননি। তাঁর দলেরই সাংসদ, মন্ত্রী এখন জেলের ভাত খাচ্ছেন। উনি এ সবের জন্য সত্যিই এক নম্বরে!’’
ভিড়ের অ্যাপ
ভোট দিতে গিয়ে বুথে লম্বা লাইন দেখে ফিরে এসেছেন? চিন্তা নেই, ভিড় কতখানি জানাতে এসে গিয়েছে ‘অ্যাপ’। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ইন্ডাস নেট টেকনোলজিস’ তৈরি করেছে ‘ইলেকশন কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। আপাতত বর্ধমান জেলার ভোটারেরা এই ‘অ্যাপ’ ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান অভিষেক রুংতা। কী ভাবে কাজ করবে ‘অ্যাপ’?
নির্দিষ্ট নম্বরে ভোটার কার্ডের নম্বর এসএমএস করে দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বুথে কতটা ভিড় আছে, তার বিবরণ মোবাইলে পৌঁছে যাবে। সেই বুঝেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে পারবেন ভোটারেরা।
দূরে কোথাও
ভোটের বাদ্যি বাজছে গোটা রাজ্যে। কিন্তু দুই ভোট-প্রার্থী বন্ধু পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের বড় দল নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন শৈলশহরে। দু’জনেই বিজেপি-র। এক জন উত্তরবঙ্গের প্রার্থী, অন্য জন দক্ষিণের। এমন সময় এমন বেড়ানো? বিস্তর চাপাচাপির পরে দুই প্রার্থী-বন্ধুর বক্তব্য, ‘‘দাদা (বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ) তো চাচার বিরুদ্ধে প্রাণ বাঁচানোয় ব্যস্ত। এখন আমাদের দিকে কারও নজর নেই।’’