দেখা হল না শুভশ্রীকে
সকাল থেকে মাইকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গিয়েছিল— ‘‘টলিউডের নায়িকা শুভশ্রী আসছেন। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই। ...চলে আসুন, চলে আসুন।’’ সকাল দশটাতেই ভাল ভিড় জমে যায় রানাঘাট থানার আনুলিয়া কায়েতপাড়া এলাকায় রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আবিররঞ্জন বিশ্বাসের জনসভায়। রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা। কিন্তু কই, নায়িকা কোথায়? ভিড়ের মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। কারও মুখে, ‘‘কখন আসবেন উনি?’’ তো কেউ বলছেন, ‘‘সেই এক কথা বলে যাচ্ছে, কিছু ক্ষণের মধ্যে...। ধুর!’’ এ হেন দমবন্ধ পরিবেশ সহ্য করতে পারেনি নবম শ্রেণির পড়ুয়া মিঠু সরকার। মায়ের সঙ্গে নিয়ে সভায় এসেছিল বছর চোদ্দোর মিঠু। অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘোড়াগাছার বাসিন্দা ওই কিশোরীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই মিঠুর আফসোস, ‘‘কপালটাই খারাপ। এত কষ্ট করেও শুভশ্রীকে দেখা হল না।’’
ফাঁকা মাঠে
কল্যাণীর আইটিআই মাঠে জোটের জনসভা তখন প্রায় শেষ। সর্বশেষ বক্তা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সূর্যবাবুর কথা শেষ হতেই গা ঝাড়া দিয়ে এক এক করে আসন ছেড়ে উঠে পড়তে শুরু করে লোকজন। সভা যখন প্রায় ভাঙা হাট, হঠাৎই সম্বিত ফেরে বাম নেতাদের। একী! কংগ্রেসের কেউ তো বক্তব্যই রাখলেন না। জোটের মিটিং। তবু বাম নেতাদের ভিড়ে এক রকম চুপচাপই মঞ্চের এক কোণে বসে ছিলেন কল্যাণীর ব্লক সভাপতি স্বপন দত্ত। এ বার তাঁকে ছেঁকে ধরলেন বাম নেতারা। —‘‘প্লিজ, দু’টো কথা বলুন।’’ শেষমেশ প্রায় ফাঁকা মাঠেই মাইক হাতে নামলেন স্বপনবাবু। তবে ‘গোল’ বোধহয় হল না।