ম্যাচ শেষে পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই চ্যাম্পিয়ন দলের বীরভূমের অধিনায়ক। তাঁর গুড়-বাতাসার স্পোর্টস মেডিসিনকে পরোয়া না করে আঁটোসাঁটো ফিল্ডিংয়ে রান রেট আটকে দিয়েছে চ্যালেঞ্জার টিম। কী ভাবে? রইল কয়েক ঝলক—
মাচায় বসে নজরদারি
বোলপুর কেন্দ্রের পাড়ুইয়ের মাখড়ায় কোথাও জোড়াফুলের চিহ্ন এ দিন ছিল না। গ্রামে ঢুকতেই গাছের ছায়ায় মাচা বেঁধে পাহারায় বসেছিলেন জনা তিরিশ গ্রামবাসী। তাঁদেরই অন্যতম, বৃদ্ধ শেখ আসগর আলি বললেন, ‘‘কাল রাতেও তৃণমূল নেতা নজাই শেখ দলবল নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের আসমত আলির পোলিং এজেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কারও দেখা নেই। ওরা বুঝে গিয়েছে, এখানে সন্ত্রাস চলবে না। অবাধ ভোট হচ্ছে।’’
হাঁসনে উলটপুরাণ
দুপুরে হাঁসন কেন্দ্রের উজিরপুরের একটি বুথে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারী দলবল নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করেন। ছিলেন এক পুলিশ অফিসারও। কংগ্রেসের অভিযোগ, বুথ লুঠেরই ছক ছিল তৃণমূলের। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীরা তাতে বাধা দেন। দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটে তিন জন জখম হন। তৃণমূল নেতার গাড়িও ভাঙচুর হয়। শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাস্তায় পাহারা
রামপুরহাট কেন্দ্রের আদিবাসী অধ্যুষিত আরান্দা গ্রাম। তৃণমূলের বাইক বাহিনী গিয়ে বিরোধীদের বুথে যেতে বারণ করে হুঁশিয়ারি দেয়। এর পরেই আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের কর্মীরা গ্রামে ঢোকার দু’টি রাস্তায় পাহারা দেওয়া শুরু করেন। এর পরে আর গ্রামে ঢোকার সাহস দেখায়নি তৃণমূল। গ্রামবাসীরাও ভোট দিতে গিয়েছেন নির্ভয়ে।
এবং আম্পায়ার
হাঁসন কেন্দ্রেরই ইলামবাজারের ডুরুট গজেন্দ্রগামিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসছিলেন বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টরা। বাঁশ, মাস্কেট, থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয় তৃণমূলের দলবল। জখম হন বিজেপি ও সিপিএমের পোলিং এজেন্ট-সহ ১১ জন। কিন্তু তৎপর ছিলেন ‘আম্পায়ারেরা’। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘কুইক রেসপন্স টিমে’র তৎপরতায় এর পর গ্রেফতার হন পাঁচ তৃণমূল সমর্থক। বেলা দশটায় বিরোধী দলের জখম সমর্থকেরা ফের বুথে ফিরলেন, ভোটও দিলেন। সাহস পেলেন গ্রামবাসীরাও।