West Bengal State Election Commission

ভোটারের ভয় ভাঙানোর ভার পর্যবেক্ষকদের

কমিশন সূত্রের খবর, যে-সব সংবেদনশীল এলাকার তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে গুরুত্ব পেয়েছে সেই সব অঞ্চল, গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে যেখানে গোলমাল হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১ ০৭:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধানসভায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে এ বার সব ভোটারের ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তাই ভোট দিতে ইচ্ছুক, অথচ ভয়ে কুঁকড়ে আছেন— এমন ভোটারদের প্রত্যেকের সঙ্গে পর্যবেক্ষকদের যোগাযোগ রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে তারা। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি পর্যবেক্ষকদেরও এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

Advertisement

কমিশন সূত্রের খবর, যে-সব সংবেদনশীল এলাকার তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে গুরুত্ব পেয়েছে সেই সব অঞ্চল, গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে যেখানে গোলমাল হয়েছিল। সেই সব এলাকার অনেক ভোটারই ভোট-হিংসা বা দুষ্কৃতীদের ভয়ে ভোটদানে বিরত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বারের ভোটে সেই সব ভোটারের আস্থা বাড়াতে আগেই জেলা প্রশাসনগুলিকে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। বলা হয়েছিল, এই ধরনের প্রত্যেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভয় দূর করতে হবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে জেলা-কর্তাদের ফোন নম্বরও দিয়ে রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট সকলকে।

কমিশন জানিয়েছে, যে-সব পর্যবেক্ষক বাংলায় ভোট-নজরদারিতে আসছেন, ভোটারদের ভয় কাটানোর প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে তাঁদেরও। প্রয়োজন হলে ভীত ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টাও করতে হবে পর্যবেক্ষকদের। এ ক্ষেত্রে পুলিশ পর্যবেক্ষকদের উপরে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে।

Advertisement

সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ব্যবহার করার কৌশলও রয়েছে কমিশনের। “একশো শতাংশ ইচ্ছুক ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন, তেমন পরিবেশ শুরু থেকেই রাখতে চাইছে কমিশন। তাই সব স্তরের অফিসারদেরই দায়বদ্ধ করতে চাইছেন কমিশন-কর্তারা,” বলেন এক প্রশাসনিক কর্তা।

কমিশনের নির্দেশে জেলা প্রশাসনগুলি ভীত ভোটারদের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকার বাইরে এই ধরনের কোনও ভোটার এখনও থেকে গিয়েছেন কি না, তা যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যবেক্ষকদের। কমিশন জানিয়েছে, এ কাজে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে। অন্যথায় কমিশনের কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হতে পারে।

রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন ২৭ মার্চ। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যার উড়ানে রাজ্যে আসছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। রাজ্যে এসে তাঁরা ভোট-প্রস্তুতির খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। বৃহস্পতিবার বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং ব্যয়-পর্যবেক্ষকদের (যাঁরা পাঁচ ভোট-রাজ্যেই যাবেন) সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশন-কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement