বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে তথাকথিত বাম-কংগ্রেস ‘হার্মাদ’দের আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের কাছে অবশ্য তা হুমকি বলেই মনে হয়েছে। অভিযোগও হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
শনিবার দুপুরে সাঁওতালডিহির বীরসাচক ময়দানের নির্বাচনী সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘২০১১ সালে আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই’। আমরা পরিবর্তনের সরকার এনে বাংলার বুকে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।’’ এর পরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিপিএম-কংগ্রেসের হার্মাদদের বলে দিচ্ছি, যত দূর মাইকের আওয়াজ যাচ্ছে শুনে নাও—৪ এপ্রিল ভোট, ১৯ মে ভোটের বাক্স খুলবে (গণনা)। তার পর থেকে বাংলার মানুষ নতুন তৃণমূল কংগ্রেস দেখবে। কেন জান? তোমাদের সৌজন্য (দেখানো) অনেক হয়েছে, সুযোগ অনেক দিয়েছি, ভদ্রতা অনেক হয়েছে। আগামী দিনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তোমাদের জবাব দেওয়া হবে। তোমরা তৈরি থাক। যে পথ তোমরা দেখিয়েছ, সেই পথেই মানুষ তোমাদের নিয়ে যাবে। আমাদের সৌজন্য দুর্বলতা নয়।’’
অভিষেকের এ ধরনের মন্তব্য ‘উস্কানিমূলক’ বলে রাজ্যের অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকারের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন! তাঁর নেতারাও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন!’’ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈবাল বর্মন জানান, পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তীর কাছে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনে তা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে। তন্ময়বাবু রাতে জানান, অভিষেকের বক্তব্যের ‘ফুটেজ’ দেখা চলছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভার জোট-প্রার্থী অমিয় পাত্রের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল গুন্ডামিতে বিশ্বাসী। তাই এ ধরনের কথাবার্তা ওঁদেরই মানায়। তেমন হলে মানুষ প্রতি সেন্টিমিটারে-সেন্টিমিটারে ওঁদের জবাব দেবেন।’’