ফাইল চিত্র।
সোমবার রাজ্যে তিনটি সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমটি বর্ধমানের তালিত-এ। পরেরটি নদিয়ার কল্যাণী ও শেষেরটি বারাসতে। বর্ধমানের তালিতের জনসভা থেকে মোদী বলেন, “বাংলায় ৪ দফাতেই বিজেপি-র আসনের সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। দিদি হেরে গিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “পুরো দেশ জুড়ে উন্নয়ন চলছে। বাংলাতেও সব রকমের উন্নয়ন হবে। তার জন্য বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনতে হবে।” কল্যাণীর জনসভা থেকে মোদী বলেন, “চারদফার নির্বাচনে তৃণমূলের সাফ হওয়া নিশ্চিত। দু’দিন পরেই বাংলায় পয়লা বৈশাখ। ওই দিন থেকেই দিদির সরকারের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ২ মে, দিদি যাচ্ছেন। বিজেপি আসছে।”
কী বললেন মোদী—
• বাংলার প্রতিটি নাগরিক, বিশ্বের কোণায় কোণায় যে সব বাঙালি রয়েছেন তাঁদেরকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
• নববর্ষ আসছে। এ বার নিয়ে আসুন আসল পরিবর্তন। এ বার গড়ব সোনার বাংলা। এ বার বিজেপি। আসছে বিজেপি।
• বাংলায় বিজেপি-র সরকার এলেই প্রথম কাজ করা হবে কৃষকদের স্বার্থে। ২ মে-র পর বিজেপি-র সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার প্রত্যেক কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা সরাসরি জমা হবে।
• তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে খাদি এবং বস্ত্রশিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে।
• দমদম-বারাসত মেট্রোর কাজ দ্রুত হবে।
• বাংলার বিজেপি সরকার আমপান পীড়িতদের কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই ত্রাণ পাঠাবে দ্রুততার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রত্যেকে যাতে বাড়ি পায় তার কাজের গতি বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রান্নার গ্যাসের সুনিশ্চয়তা দেবে বিজেপি-র সরকার।
• প্রত্যেক বাঙালি বলছে, পীড়িতরা বলছে, পুরো বাংলার কোণা কোণা থেকে আওয়াজ আসছে, ২ মে দিদি যাচ্ছে। বিজেপি আসছে।
• দিদি, আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আপনি শুধু গরিবদের বাড়ি লুঠ করেননি, বরং এই সঙ্কটজনক সময়ে মনরেগা-র সুবিধা আপনার তোলাবাজরা ছিনিয়ে নিয়েছে।
• মা মাটি মানুষের কথা বলা দিদির কাছে বাংলাৃর মানুষের অনেক আশা ছিল। সংবেদনশীলতা আশা করেছিলেন। কিন্তু আমপানে গরিবদের বাড়ি, স্বপ্ন ছিনিয়ে নিয়েছেন। যত কষ্ট আমপান না দিয়েছে, বাংলার মানুষকে তার চেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে দিদির বিশ্বাসঘাতকা।
• যাঁরা আপনাদের পেট মেরেছে তাঁরা যেন বিধানসভায় পৌঁছতে না পারেন।
• গরিবদের লুঠ করে এমন লোকেদের শুধু ভোটে হারানো নয়, ওঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা দরকার।
• কেন্দ্র করোনার ত্রাণ হিসেবে চাল, ছোলা পাঠিয়েছিল। দিদির লোকেরা লুঠে নিয়েছে। আমপানের জন্য টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র, সেটাও দিদির লোকেরা লুঠে নিয়েছে।
• এই জন্যই আজ গোটা বাংলা বলছে, বাংলার দরকার, বিজেপি-র সরকার।
• এখানকার গরিব, মধ্যবিত্তরা শান্তি চান। নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ বানাতে চান। কিন্তু দিদি বাংলাকে এ সব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
• ২০২১-এর বাংলা সুশাসন চায়, আসল পরিবর্তন চায়।
• দিদির রাজত্বে অনুপ্রবেশকারীদের অবাধে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
• মেয়ে, বোনদের প্রতি অন্যায়ের বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গোটা দেশে খোলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে তার বিরোধিতা করছেন দিদি।
• তৃণমূলের কুশাসনে যে-ই রক্ষক সে-ই ভক্ষক।
• দিদির সরকারের প্রতিটি অন্যায়ের পুরো হিসাব নেওয়া হবে।
• ১০ বছরের শাসনে দিদি নিজের ভাইপোকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলার মানুষকে কিছু দিয়েছেন? যা দিয়েছেন তা হল চাকরির জন্য অপেক্ষা, চাকরিতে দুর্নীতি।
• দিদি... ও দিদি বলে ডাকলেই রেগে যাচ্ছেন।
• দিদি, আপনার সব ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ ভেস্তে দেবে।
• যাঁরা হিংসা ছড়াচ্ছেন, ভোটে বাধা দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দিদি একবারও বলেছেন? বলেননি এক বারও।
• ১০ বছরের শাসনে গরিবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
• দিদি বাংলার দলিতদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট চাইছে।
• দিদি আপনাদের সততা নিয়ে আক্রমণ করছেন।
• দিদি আর তাঁর দলের যা পরিস্থিতি, এই জন্যই বলে বিপদকালে বুদ্ধিনাশ।
• দিদি, আবোল তাবোল বকছেন।
• আমার প্রতি আপনাদের এই ভালবাসা দিদির ভাল লাগছে না।
• যে ভাবে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে স্বাগত জানালেন, দেখে মনে হল ২ মে আজই এসে গিয়েছে।
• আপনাদের ভালবাসা, স্নেহ আমার জীবনের আসল শক্তি।